প্রতিবেদন : চলতি সপ্তাহের শুরুতেই গোটা আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে প্যানডোরা পেপার রিপোর্ট। এই রিপোর্টে বিশ্বের বহু নামীদামি ব্যক্তিত্ব কীভাবে কর ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা লুকিয়ে রেখেছেন তা সামনে এসেছে। এই রিপোর্টে প্রায় ৩০০ জন ভারতীয় নাগরিকের নাম আছে। তাই বিষয়টি সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সে কারণে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা একসঙ্গে প্যানডোরার রিপোর্ট নিয়ে তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : ঘাটালে মৃত শিশুর পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দিলেন দেব
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারপর আইন অনুযায়ী চলবে তদন্তের কাজ। তদন্তে যদি কেউ দোষী বলে সাব্যস্ত হয় তবে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা একযোগে এই তদন্ত করবে তার নামও জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস এবং ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আপাতত একযোগে প্যানডোরা পেপারের রিপোর্ট নিয়ে তদন্ত চালাবে। প্যানডোরার রিপোর্টে নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মেদির ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি অনিল আম্বানির।
আরও পড়ুন : খুনিদের আড়াল করছে নির্লজ্জ বিজেপি, ঘটনাস্থলে প্রতিবাদ তৃণমূলের
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদি সরকার কালো টাকা রুখতে ২০১৫ সালে ব্ল্যাক মানি অ্যান্ড ইমপোজিশন অফ ট্যাক্স অ্যাক্ট তৈরি করেছিল। তবে আইন তৈরি হলেও মোদি সরকার কালো টাকা রুখতে কতটা সফল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মোদি সরকারের জমানায় পানামা ও প্যারাডাইস পেপারের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০ হাজার ৩৫২ কোটি কালো টাকার হদিশ মিলেছে। কালো টাকা অনুসন্ধান করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল। তবে ওই পর্যন্তই। মোদি সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে কালো টাকার বিরুদ্ধে অনেক বড় অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়ে মোদি সরকারের অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে।