প্রতিবেদন: আবার বিভ্রান্তির ফানুস উড়ালেন মোদি। দেশের দুর্বিষহ বেকার সমস্য নিয়ে যেন খেলা করছেন প্রধানমন্ত্রী। যত দিন যাচ্ছে ততই সামনে আসছে মোদি সরকারের মিথ্যাচার৷ মন্ত্রীসভার সদস্যদের মধ্যে বোধহয় অলিখিত প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে মিথ্যাভাষণের। সেই প্রতিযোগীতায় এখন অংশ নিয়েছেন মোদি নিজে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি নিয়ে তিনি যে গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা অসত্য বলে প্রমাণিত হওয়ার পরেও চাকরি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি দেবে তারা৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসে একই প্রতিশ্রুতি দেন মোদি নিজেও৷
আরও পড়ুন-বিধানসভা ভোটের আগে দিল্লিতে কাদা-ছেটানোর রাজনীতি বিজেপির
বিদেশে রক্ষিত কালো টাক্কা উদ্ধার করার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রত্যেক ভারতীয়র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিজেপি৷ যাবতীয় প্রতিশ্রুতিই যে বিজেপি এবং মোদি সরকারে ‘জুমলা’ তার প্রমাণ মিলেছে হাতে নাতে৷ বছরে দু কোটি বেকারের চাকরিও যেমন হয়নি, তেমনি পূরণ হয়নি প্রত্যেক ভারতীয়র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার স্বপ্নও৷ এই আবহে সোমবার ফের একরাশ মিথ্যা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে৷ সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত রোজগার মেলায় প্রধানমন্ত্রী নিজেই দাবি করলেন, তাঁর সরকার বিগত এক দেড় বছরে দশ লক্ষের বেশি বেকারকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছে৷ তাঁর দাবি, এটা সর্বকালীন ‘রেকর্ড৷’ প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির মাধ্যমেই সরকারের মিথ্যাচার ফের সামনে এসেছে৷ প্রশ্ন উঠে গেছে বছরে দু কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে৷ মোদি সরকারের গালভরা প্রতিশ্রুতি আর সরকারি চাকরির আশ্বাসই যে এদেশের কোটি কোটি বেকারের স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা প্রমাণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে, দাবি তৃণমূল শিবিরের৷ এই প্রসঙ্গেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়৷ তাঁর প্রশ্ন, মোদি সরকারের সবটাই প্লেইং ট্যু দ্য গ্যালারি, কোন কিছুর মধ্যেই সত্যতা কতটা তা যথেষ্ট সন্দেহ আছে।