প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মিথ্যাচার ফের ফাঁস হয়ে গেল। বাংলাকে বঞ্চনার তালিকায় নতুন সংযোজন হল উজ্জ্বলা যোজনা। কেন্দ্র সরকার ও বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতির কারণে বঞ্চিত বাংলার ১৪ লক্ষ আবেদনকারী। খোদ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক সংসদে স্বীকার করে নিয়েছে, রাজ্য সরকারকে বাদ রেখেই কমিটি গঠন হয়েছিল বাংলায়। মন্ত্রকের এই কথাতে স্পষ্ট হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার।
প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ নির্বাচনের আগে প্রচারে এসে ফলাও করে বলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় উজ্জ্বলা যোজনার বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্যের মন্তব্যে স্পষ্ট, মোদি ভুল। কারণ রাজ্যকে বাদ রেখেই যদি কমিটি তৈরি হয় মুখ্যমন্ত্রী বাধ সাধবেন কী করে? অর্থাৎ মোদি মিথ্যাচার করেছেন। উজ্জ্বলা যোজনার বাস্তবায়নেও ১০০ দিনের কাজ বা আবাসের মতো রাজনীতির শিকার হয়েছে বাংলা। বঞ্চনা করা হয়েছে বাংলার মানুষের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- কোন মন্ত্রবলে জগন্নাথের শিক্ষিকা স্ত্রী এতবার পোস্টিং পেয়ে গেল?
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৭৫ লক্ষ পরিবারকে বিনা পয়সায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র। প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘উজ্জ্বলা কমিটি’ গঠন করতে হবে। গ্যাস কারা পাবেন বা কারা পাওয়ার যোগ্য নন, তা ঠিক করতে তৈরি করা হয় জেলাস্তরের কমিটি। সেই কমিটিতে রাজ্যের প্রতিনিধি রাখা হলেও, তাদের কাজ স্রেফ সই করা। কেন্দ্রের ‘প্রভাবশালী’দের হাতেই থাকে সব চাবিকাঠি। ২০২৪-এর ২৯ জানুয়ারি নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, রাজ্যের প্রতিনিধি না রেখেই জেলায় জেলায় উজ্জ্বলা কমিটি গঠন করতে হবে। এই নোংরা রাজনীতির খেলা খেলতে গিয়েই উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু গরিব মানুষ।
মোট ৭৫ লক্ষের মধ্যে বাংলায় উজ্জ্বলা যোজনায় ১৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়ে। বর্তমানে পুরো প্রক্রিয়াটিই ঠান্ডা ঘরে। কেন্দ্র রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই ‘চ্যাপ্টার ক্লোজ’ করে দিয়েছে। বাংলাকে বঞ্চিত রেখেই কেন্দ্র টার্গেট পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলিকে তারা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাকে নিয়ে আর না ভাবলেও চলবে। ফলে বঞ্চনার তালিকায় নতুন সংযোজিত হয়েছে উজ্জ্বলা যোজনা।