প্রতিবেদন: ঠিক যেমন করে পুলওয়ামার ঘটনাকে সামনে রেখে নির্বাচনী ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), বিহারেও সেই একই খেলায় মেতেছেন তিনি। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনের মুখে পুলওয়ামা হামলাকে ইস্যু করে বিভেদ এবং মেরুকরণের নির্লজ্জ রাজনীতি করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। এবারে পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে ব্যবহার করে একইভাবে বিহারে মেরুকরণ এবং উগ্র হিন্দুত্বের বিষ ছড়াতে শুরু করলেন তিনি। লক্ষ্য, অবশ্যই বছরশেষের বিহার বিধানসভা ভোটে ফায়দা লোটা। বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনিতে এক সভায় মোদির কথাবার্তায় বেআব্রু হয়ে গেল তাঁর সেই মনোভাবই।
অদ্ভুত ব্যাপার, তাঁর ২৮ মিনিটের ভাষণে মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিট খরচ করলেন পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীদের হত্যালীলা নিয়ে। এরই মধ্যে শোকপ্রকাশ করলেন, দিলেন নাটুকে হুঙ্কার। দেশের পরিস্থিতি যখন টালমাটাল, তখন বিভেদের রাজনীতিতে ইন্ধন জোগাতেও লজ্জা পেলেন না তিনি। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় অমিত শাহকে কেন নিরাপত্তার ব্যর্থতার জন্য শোকজ করা হল না এখনও, তার জবাবও দিতে পারলেন না মোদি। সবচেয়ে দৃষ্টিকটু বিষয় হল, ভাষণের মাঝেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোকস শেয়ার করতে দেখা গেল তাঁকে। পহেলগাঁওতে ভরা মরশুমে কেন পর্যটকদের জন্য ন্যূনতম নিরাপত্তার আয়োজন ছিল না, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না তিনি। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘোষণা করলেন না কোনও স্পেশ্যাল প্যাকেজও। মোদির (Narendra Modi) ভূমিকায় এদিন রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিহারের সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন-দেউলিয়া-জঙ্গি রাষ্ট্র, তবু বড় বড় হুমকি দিচ্ছে নির্লজ্জ পাকিস্তান