সংখ্যালঘুদের নিয়ে মোদির বক্তব্য নির্বাচনী বিধি ভেঙেছে, অভিযোগে সরব তৃণমূল

একতরফা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে চললেও নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Must read

প্রতিবেদন: একতরফা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে চললেও নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করার সাহস নেই তাদের। একাধিক নির্বাচনী প্রচারসভায় ধর্মকে ব্যবহার করে যে বক্তব্য পেশ করছেন প্রধানমন্ত্রী, তা স্পষ্টভাবে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বলে এবার সরব হল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে ‘ভগবান এবং উপাসনার স্থান’-এর নামে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। এই আবহে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মোদির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করতে চেয়ে আবেদন দায়ের হয়েছে। দু’দিন আগেই বালুরঘাটে জনসভায় মোদি বলেছিলেন, গ্যারান্টির গ্যারান্টি ৪ জুন ৪০০ পার।

আরও পড়ুন-দিলীপের কুকথায় কমিশনকে নালিশ

মোদি রাজস্থানে বলেন, আগে যখন ওদের (বিরোধীদের) সরকার ছিল তখন ওরা বলেছিল, দেশের সম্পত্তিতে প্রথম অধিকার মুসলমানদের। প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময়ই সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করেন। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় মোদির সেই ভিডিও। ওই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে তুমুল তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ ট্যুইটে লিখেছেন, ভোটের জন্য নির্লজ্জ সাম্প্রদায়িক আবেদন রয়েছে মোদির বক্তব্যে। যদি নির্বাচন কমিশন এখনই পদক্ষেপ না করে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘৃণ্য ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনটাই বন্ধ করা হোক, আর ভুলে যান নির্বাচনী বিধি বলে কিছু আছে। একইসঙ্গে দলের আরেক রাজ্যসভা সাংসদ সাকেত গোখেল টুইটে লিখেছেন, মোদি বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর “গ্যারান্টি” আবর্জনা কেউ আর কিনছে না এবং তিনি একজন মিথ্যাবাদী। তাই তিনি ফিরে এসেছেন সেই একমাত্র কাজটি করতে যা তিনি জানেন— সুকৌশলে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানো। কমিশন ঘুমোচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না। কিন্তু বাস্তব যা হতে চলেছে তা মোদির কল্পনার বাইরে।

Latest article