চিত্তরঞ্জন খাঁড়া
যুবভারতীর গ্যালারি প্রায় ফাঁকা দেখে বোঝার উপায় নেই, মাঠে একটা ডার্বি চলছে। মহামেডানের সঙ্গে দুই প্রধানের ম্যাচকে এখন যতই ‘মিনি ডার্বি’ বলা হোক, বৃহস্পতিবারের বিদেশিহীন মোহনবাগান (Mohun Bagan)-মহামেডান দ্বৈরথে উত্তেজনা ছিল পরতে পরতে। তা বলে ডুরান্ডে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মোহনবাগানকে সমর্থন করতে এত কম সংখ্যায় সমর্থকের আগমনে অবাক হতেই হয়। তবে তাঁদের হতাশ করেনি মোহনবাগান (Mohun Bagan)। প্রায় ৬০ মিনিট দশজনে খেলেও মহামেডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল বাস্তব রায়ের দল। সৌজন্যে লিস্টন কোলাসো। তিনটি গোলেই লিস্টনের অবদান। নিজে করলেন জোড়া গোল। একটি করালেন সুহেল ভাটকে দিয়ে। মহামেডানের একমাত্র গোলদাতা অ্যাশলে কোলি। পরপর দুই হারে ডুরান্ড থেকে বিদায় মহামেডানের। কলকাতা লিগ ধরলে টানা ৬ হার তাদের।
আরও পড়ুন-ডিভিসি : মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার
মোহনবাগান কোচের স্ট্র্যাটেজি ধাক্কা খায় ৪৩ মিনিটে অপুইয়ার একটি মারাত্মক ভুলে। মহামেডানের দুই ফুটবলার দীনেশ মিতেই ও তাংভা রাগুইকে হেড বাট করে লাল কার্ড দেখেন অপুইয়া। ম্যাচের বাকি সময়টা দশজনে খেললেও জিততে সমস্যা হয়নি আইএসএল ও লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়নদের। শুরু থেকে দুই উইংয়ে লিস্টন ও কিয়ান নাসিরির ঝটকায় চাপ বেড়েছিল মহামেডান রক্ষণে। সুহেলের শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। কিয়ানের একটি গোলমুখী শট বারে লেগে বেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২৩ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে অনবদ্য একটি গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন। মহামেডান প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেললেও মোহনবাগানের চাপ ছিল বেশি। ৩৫ মিনিটে লিস্টনের ঠিকানা লেখা থ্রু ধরে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন অনিরুদ্ধ থাপা।
বিরতির ঠিক আগেই অহেতুক মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখে দলকে সমস্যায় ফেলেন আপুইয়া। মোহনবাগান ১০ জন হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুযোগ নিয়ে ১-১ করে ফেলে মহামেডান। অ্যাশলে কোলি গোল করেন। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। মোহনবাগান মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ রেখে ম্যাচ বের করে নেয়। দিনটা ছিল লিস্টনের। সব কিছুই ঠিকঠাক করলেন। ৬২ মিনিটে লিস্টনের দুরন্ত ব্যাক হিল থেকে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় গোল করেন সুহেল। মোহনবাগান ২-১ করার পর মহামেডান সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচে ফেরার। কিন্তু গোলকিপার বিশাল কাইথ বাগানকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। সংযুক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে সেই লিস্টনের গোলে জয় নিশ্চিত করে মোহনবাগান।