প্রতিবেদন : ব্লক নয়, পুরসভা। উন্নয়নের গতি আনতে ময়নাগুড়িকে পুরসভা করেছে রাজ্য সরকার। এবার নতুন পুরসভা থেকে একের পর এক সুবিধা পেতে চলেছেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। চারটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত পুরসভায় বাসিন্দারা ভাল পরিষেবা পাবেন।’’ ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি পুরসভা মানুষের চাহিদামতো পরিষেবা দিচ্ছে। পাশাপাশি পুরসভার স্থায়ী বিল্ডিং তৈরি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
বাসিন্দাদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ময়নাগুড়িকে পুরসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন ১৭ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে ময়নাগুড়ি পুরসভা। মোট চারটি অঞ্চল (জিপি) এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছে পুরসভাটি। এর মধ্যে রয়েছে মাধবডাঙা, ময়নাগুড়ি, দোমোহানি ও খাগড়াবাড়ি ১ জিপি। তবে বাকি ১৬টি অঞ্চল এলাকা পুরসভার বাইরে থাকছে। চারটি অঞ্চলের প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ জন বাসিন্দা রয়েছেন নতুন ময়নাগুড়ি পুর এলাকায়। ময়নাগুড়ির দুর্গাবাড়ির বাসিন্দা সজল রায় বলেন, ‘‘রাজ্যে পালাবদলের পর বিভিন্নভাবে আমাদের দাবি সরকারের কাছে জানাই। অবশেষে মা মাটি মানুষের সরকার আমাদের দাবি মেনে ময়নাগুড়িকে পুরসভা করেছে। বিরাট প্রাপ্তি আমাদের।’’
আরও পড়ুন : দুষ্কৃতী হামলায় জখম তৃণমূল নেতা
এদিকে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় গতি আনতে তৎপর সরকার। সময়মতো সঠিক পরিষেবা দিতে পূর্বস্থলিতে গড়ে উঠতে চলেছে ১৭টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। একপ্রস্থ বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সোমবার পূর্বস্থলির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমিক বাগচী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে ১৭টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তা অনুমোদন হয়েছে।’’ ইতিমধ্যেই দশটি কেন্দ্রের জমি দেখা হয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। চারটি কেন্দ্র হবে সরকারি জমিতে। তিনটি হবে পুরনো পরিকাঠামোয়। এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি তৈরি হলে গ্রামের মানুষ বেশি করে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এর ফলে প্রান্তিক এলাকার মানুষরা উপকৃত হবেন।’’