সোমনাথ বিশ্বাস : দাদু স্বর্গীয় বিনয় বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন পুরপিতা ও বিধায়ক। বাবা বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আর পিসি ছিলেন কার্যত কিংবদন্তি কাউন্সিলর অপরাজিতা দাশগুপ্ত। যিনি ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড সহ তৎসংলগ্ন এলাকায় বুড়িমা নামেই পরিচিত ছিলেন। সেই পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেস যে কয়েকজন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিকে প্রার্থী করেছেন, তাঁদের মধ্যে মোনালিসা উজ্জ্বলতম মুখ। রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে মোনালিসা কলকাতার অক্সিলিয়াম কনভেন্ট স্কুল থেকে সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি থেকে চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দেশে ফিরে তিনি একটি নামী বিজ্ঞাপন সংস্থার কাজ নিয়ে মুম্বইয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন : মহানগরে প্রচারে তৃণমূলের সুনামি
এর মাঝেই বেশ কয়েকটি শর্ট ফিল্ম বানিয়ে ছিলেন মোনালিসা। তবে আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে মোনালিসার রক্তে রাজনীতি। তাই মানবসেবার তাগিদে পরিবারের অন্যদের মতো তাঁরও সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ। বাবার দেখানো পথেই বুথস্তরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। কোনও জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকায় রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে গরিবদের জন্য বস্ত্রদান, পথশিশুদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কিংবা করোনা অতিমারি থেকে আমফান বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মোনালিসা। করোনা অতিমারির সময় দুঃস্থ অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বুড়িমার যোগ্য উত্তরসূরি মোনালিসা। তাই বুড়িমার প্রয়াণের পর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের অটোমেটিক চয়েজ মোনালিসা। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে পুর প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে কী কাজ করবেন মোনালিসা? তাঁর ছোট্ট উত্তর, ‘‘আমার পিসিমা ওয়ার্ডকে সাজিয়ে দিয়েছেন। সেই অর্থে কোনও কাজই বাকি নেই। তবে উন্নয়নের তো সীমারেখা হয় না। আমি নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই কর্মসূচি নির্ধারণ করব। দুয়ারে দুয়ারে পরিষেবা পৌঁছে দেব। ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল হিসেবে তুলে ধরব কলকাতা শহরের বুকে। আর যেহেতু এই ওয়ার্ড শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন, তাই জেলার মানুষও যাতে এই ওয়ার্ড দেখে উৎসাহিত হতে পারেন সেই চেষ্টা থাকবে।”