প্রতিবেদন : বাংলায় বিনিয়োগ টানাই লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর। লক্ষ্য বাংলাকে বিশ্বের দরবারে শিল্প সম্ভাবনায় শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর এটি অষ্টম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। এবারও শিল্প সম্মেলন থেকে বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে আশাবাদী রাজ্য। প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। প্রচারে গগনচুম্বী ফেস্টুন সংবলিত ভিডিও প্রকাশ করেছে তৃণমূল। এখন শুধু অপেক্ষা সম্মেলন শুরুর।
আরও পড়ুন-মণ্ডপ থেকে উধাও হল বাগদেবী, তদন্তে পুলিশ
মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে দেশের একনম্বর শিল্প সম্ভাবনাময় রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে তেমনই পরিকাঠামো উন্নীত করেছেন, তৈরি করেছেন ল্যান্ড ব্যাঙ্ক। তারপর রয়েছেন দক্ষ শ্রমিক। একজানালা নীতিও চালু করেছেন শিল্পের পরিবেশকে সহজতর করতে। বিনিয়োগ টানতে তিনি বিদেশ সফরও করেছেন। আর রাজ্যে শিল্প সম্মেলন করে বিশ্বের নজর তো কেড়েই নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এবারের সম্মেলনে নতুন বিনিয়োগের লক্ষ্য ছাড়াও গতবারের বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে। এবার বিজিবিএস শুরুর আগেই রাজ্যে ‘পরিত্যক্ত’ জমিগুলিতে নতুন শিল্প বা শিল্পপার্ক তৈরি করার লক্ষ্যে বিশেষ নজর দিয়েছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সরকারের লক্ষ্য স্থির করে জানিয়ে দিয়েছেন, আরও শিল্প ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাই আরও বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি এই বৃহৎ আয়োজন। এবার বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছে ২০টি দেশ। রাজ্যে যেমন এআই হাব তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে, তেমনই সেমিকন্ডাক্টর থেকে শুরু করে তথ্য-প্রযুক্তি, বস্ত্র ও চর্ম এবং পর্যটন শিল্পেও বিশেষ নজর দিচ্ছে রাজ্য।
আরও পড়ুন-সরকারি স্কুলের শৌচাগারে আট বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা
বাংলায় নতুন শিল্প করিডর তৈরি হচ্ছে রঘুনাথপুর-ডানকুনি-তাজপুর, ডানকুনি-কল্যাণী এবং ডানকুনি-ঝাড়গ্রামে। এছাড়া বাংলায় রয়েছে ২২টি আইটি পার্ক। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে জোয়ার আনতে গড়ে উঠছে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি। বাংলার প্রধান প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দর ও মেটিয়াবুরুজ মেগা লেদার ক্লাস্টার।