পূর্ব বর্ধমানে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৩৭ কোটির বেশি বরাদ্দ

অতিবৃষ্টির জেরে আলুচাষে ক্ষতি হয়েছিল জেলায়। দু’বার করে চাষ করতে হয়েছে। বৃষ্টির জেরে সব চাষি শেষ পর্যন্ত আলু লাগাতেও পারেননি

Must read

সুনীতা সিং, বর্ধমান: অতিবৃষ্টির জেরে আলুচাষে ক্ষতি হয়েছিল জেলায়। দু’বার করে চাষ করতে হয়েছে। বৃষ্টির জেরে সব চাষি শেষ পর্যন্ত আলু লাগাতেও পারেননি। চাষিরা বিমার জন্যে বারবার আন্দোলন করেছেন। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার ও অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রসেনজিৎ দাসের উপস্থিতিতে এক বৈঠকের পরেই ‘বাংলা শস্যবিমা’র টাকা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৮,৭১১ জন চাষি বিমার ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৩৭ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৭৫ টাকা পাবেন। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে বাংলা শস্যবিমার টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হচ্ছে এমসিএ-র শাখা কার্যালয়

জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডল বলেন, চাষিদের অ্যাকাউন্ট ঠিক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিমার টাকা পেয়ে যাবেন। পরের মরশুম থেকে আলুচাষের জন্যে চাষিদের বিমার খরচ দিতে হবে না বলে আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। জেলাশাসকের ওই বৈঠকে কৃষি-কর্তারাও ছিলেন। চলতি বছরে বৃষ্টির জন্য এমনিতেই দু’বার আলুচাষ করতে হয়েছে। গত বছরের চেয়ে আলুর এলাকাও কমেছে। তার উপরে আলু তোলার সময় কয়েক দিন ঘন কুয়াশার ফলে নাবিধসা রোগে আলু নষ্ট হয়েছে। তাতে ফলন অনেকটাই কম হয়েছে। গত বছর ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছিল। ফলন হয়েছিল ১৯,০৩,৬৬৮ টন (গড়ে ২৮ টন)। এবার চাষ হয়েছে সাড়ে ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে। ১১,৯৭,৮৪৮ টন (গড় ১৯ টন) আলু ফলেছে। গত বছরের চেয়ে ৭,০৬,৬৬৮ টন আলু কম উৎপাদন হয়েছে, গড়ে প্রতি হেক্টরে ৯ টন আলু কম পেয়েছেন চাষিরা।

আরও পড়ুন-সাংবাদিক বৈঠক থেকে আশ্বস্ত করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, বার্ড-ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না

চাষিরা ক্ষতিপূরণ বাবদ বিমার দাবি তুলেছিলেন। মেমারির রাধাকান্তপুরে মালডাঙা রোড অবরোধ করেছিলেন। পরে জেলাশাসক দফতরেও বিক্ষোভ দেখান। প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, ভোটের আগেই বিমার ক্ষতিপূরণের হিসেব হয়ে গিয়েছিল। আদর্শ আচরণবিধি চলায় টাকা দেওয়া যায়নি। কৃষি দফতরের কাছে ৬১ হাজারের মতো চাষি বিমা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তা খতিয়ে দেখেন কৃষি ও বিমা সংস্থার কর্তারা। উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে শস্যের স্বাস্থ্যপরীক্ষা দেখার পরে মাঠে নেমে সরেজমিন শস্যের নমুনা সংগ্রহ করেন। তারপর দু’টি পদ্ধতি মিলিয়ে ঠিক হয়, ৫৮ হাজার ৭১১ জন চাষি বিমা পাওয়ার যোগ্য। সেই শস্যবিমার তালিকা জমা দিলে বৃহস্পতিবার জেলাস্তরের বৈঠকে তা অনুমোদন হয়।

Latest article