সংবাদদাতা, মধ্যমগ্রাম : নৃশংসভাবে পিসিশাশুড়িকে খুন করে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে ভরে ভ্যান ও ট্যাক্সি করে মধ্যমগ্রাম থেকে কুমোরটুলি! মধ্যমগ্রাম-খুনের পুঙ্খানুপুঙ্খ খুঁটিনাটি পুলিশের সামনে অভিনয় করে দেখাল ধৃত মা-মেয়ে। বুধবার ফাল্গুনী এবং আরতিকে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লির বাড়িতে নিয়ে এসে আরও একবার খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। বীরেশপল্লির যে বাড়িতে খুন হয়েছিল, সেই ভাড়াবাড়িতে এদিন পরপর ঘটনাক্রমের পুনর্নির্মাণ করা হয়।
এর মধ্যে ফাল্গুনী ও আরতিকে জেরা করে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এদিন মূলত খুনের পর অস্ত্রগুলিকে কীভাবে পুকুরে ফেলে বীরেশপল্লির মোড় থেকে ট্রলিব্যাগে মৃতদেহ নিয়ে প্রথমে ভ্যানে দোলতলা মোড় এবং সেখান থেকে ট্যাক্সিতে কুমোরটুলি ঘাটের উদ্দেশ্যে পৌঁছল মা-মেয়ে, তা পুলিশের সামনে অভিনয় করে দেখায় তারা। ইতিমধ্যেই মা-মেয়ের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে বঁটি, দা ও একটি হাতুড়ি, যা খুনে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে অনুমান পুলিশের। তবে যে ছুরি দিয়ে মৃতদেহ কাটা হয়েছিল, সেটির খোঁজ চলছে। খোঁজ চলছে দ্বিতীয় ট্রলিটিরও।