প্রতিবেদন : অবশেষে পুলিশের জালে ডোমজুড়-কাণ্ডের (Domjur Case) মূল কালপ্রিট শ্বেতা খান ওরফে মোহসিনা বেগম ওরফে ফুলটুসি! বুধবার সকালেই কলকাতার গলফগ্রিন থেকে তার ছেলে আরিয়ান খান ওরফে সাহিলকে গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিশ। আর ভোরে বারুইপুর থেকে শ্বেতার নাবালিকা মেয়ে জোয়া খান এবং ডোমজুড় থেকে শ্বেতার মাকেও গ্রেফতার করা হয়। তারপরই এদিন সন্ধ্যায় মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে কলকাতার আলিপুর এলাকা থেকে শ্বেতাকে গ্রেফতার করলেন ডোমজুড় থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার শ্বেতা ওরফে ফুলটুসিকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আরিয়ানকে এদিন হাওড়া আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আর জোয়াকে জুভেনাইল বোর্ডে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ছেলে আরিয়ান ও মেয়ে জোয়াকে নিয়ে বাঁকরা থেকে পালায় শ্বেতা খান। নাবালিকা মেয়েকে বারুইপুরে এক পরিচিতের বাড়িতে চালান করে কলকাতা পৌঁছয় মা-ছেলে। তারপর আরিয়ানের থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে গা ঢাকা দেয় শ্বেতা। কিন্তু নতুন নম্বর নিয়ে ফোনে যোগাযোগ রাখে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে। বুধবার সকালে আরিয়ান ও জোয়া ধরা পড়তেই সন্ধ্যায় আলিপুরের গোপালনগরে হানা দিয়ে শেষপর্যন্ত শ্বেতাকে পাকড়াও করে পুলিশ।