সংবাদদাতা, হুগলি: সারা বছর শান্তরূপে বিরাজমান তিনি। তবে পুজোর দিন তার রুদ্রমূর্তি দেখতে পান ভক্তরা। কিন্তু পুজো মিটে গেলেই পুনরায় তিনি ফিরে আসেন শান্ত স্নিগ্ধ রূপে। দক্ষিণা কালী হংসেশ্বরীর পুজো হয় বাঁশবেড়িয়ার মন্দিরে। কালী পুজোর দিন মুখে রূপার মুখোশ সোনার জিভ পড়ানো হয়।মাথায় মুকুট রাজবেশ ধারন করার পর অমাবস্যায় পুজো শুরু হয়। কিন্তু পুজো শেষ হওয়ার পর রাজবেশ খুলে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন-ডিজিটাল অ্যারেস্ট কেলেঙ্কারি নিয়ে পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
ইতিহাস বলে, রাজা নৃসিংহ দেব রায় ১৮০১ সালে মন্দির তৈরীর কাজ শুরু করেন। ১৮১৪ সালে সেই কাজ শেষ করেন।তারপর হংসেশ্বরী মন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন।বেনারস থেকে গঙ্গায় ভেসে আসা নিম কাঠের গুড়ি দিয়ে মূর্তি তৈরী হয়।মূর্তিতে কোন জোড়া তাপ্পি দেওয়া হয়নি এক নিম কাঠ কেটে তৈরি করা। মন্দিরের সেবাইত জানান, বছরে এক রাতের জন্য রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন মা। কালী পুজোর দিন সন্ধ্যা আরতির পর তাকে রাজবেশ পড়ানো হয়, রুপোর মুখোশ ও সোনার জিভ পড়ানো হয়। গায়ে কোনও বস্ত্র থাকেনা ফুলমালা দিয়ে ঢাকা থাকে। মা এদিন এলোকেশি রূপে দেখা দেন। পুজো শেষে ভোর চারটে সেসব আবার খুলে ফেলা হয়।শান্ত রূপে ফিরে আসেন মা। বছরে দুটো বড় উৎসব হয় হংসেশ্বরী মন্দিরে।কালীপুজো আর স্নান যাত্রা। সাধারন সময়ে সকাল সাতটায় মন্দির খোলে। দশটায় পুজো শুরু হয়। বর্তমানে হংসেশ্বরী মন্দির হেরিটেজ সম্পত্তি। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্বাবধানে রয়েছে।