অংশুমান চক্রবর্তী: শনিবার ছিল ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের তৃতীয় দিন। উপচে পড়েছিল ভিড়। শো শুরুর আগে বিভিন্ন হলের বাইরে দেখা গেছে লম্বা লাইন। এইবছর পালিত হচ্ছে সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ। তাঁকে স্মরণ করা হচ্ছে চলচ্চিত্র উৎসবে। এইদিন রবীন্দ্রসদনে প্রদর্শিত হয়েছে ‘দো বিঘা জমিন’। ১৯৫৩ সালে নির্মিত বিমল রায় পরিচালিত এই ছবির গল্পের লেখক ছিলেন সলিল চৌধুরী।
আরও পড়ুন-দায় নিতে হবে বিজেপিকে : পার্থ
মিডিয়া সেন্টারে ছবিটি সম্পর্কে বহু অজানা কথা তুলে ধরেন বিমল রায়ের পুত্র জয় বিমল রায়। অন্য একটি পর্বে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘বড়বাবু’ ছবির পরিচালক রেশমি মিত্র, অভিনেতা সুজন নীল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ছবিটি দেখানো হচ্ছে ‘বেঙ্গলি প্যানোরামা’ বিভাগে। এবারের ফোকাস পোল্যান্ড। অন্যান্য দেশের পাশাপাশি পোলিশ ছবি দেখার জন্য চোখে পড়েছে দর্শকদের উৎসাহ, উন্মাদনা। ১৯৭০ সালে মুক্তি পায় সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুর, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় অভিনীত সাদা-কালো ক্লাসিকটি দেখানো হয়েছে নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে। প্রায় ৫৫ বছর আগের ছবিটি বড় পর্দায় এই সময়ের দর্শকরা দেখলেন আগ্রহের সঙ্গে। মুছে গেল সময়ের ব্যবধান। প্রজন্মের ব্যবধান।
একতারা মুক্তমঞ্চে জমে উঠেছিল ‘সিনে আড্ডা’। বিষয় : ‘সিনেমায় রোমান্টিক গান’। উপস্থিত ছিলেন কবীর সুমন, মাধুরী দে, সুজয় ভৌমিক। সঞ্চালনায় জুন মালিয়া। প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে ফেস্টিভ্যাল ডায়েরি। উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলে বিক্রি হচ্ছে চলচ্চিত্র বিষয়ক বই। ভিড় দেখা গেছে প্রদর্শনীতে। সবমিলিয়ে উৎসব জমজমাট। আশা করা যায়, রবিবার আরও অনেক বেশি সংখ্যক চলচ্চিত্রপ্রেমী আসবেন।

