প্রতিবেদন : আবহাওয়াকে ঢাল করে কলকাতা থেকে আইপিএল ফাইনাল ও কোয়ালিফায়ার সরিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিসিসিআই নিয়েছে, তার মধ্যে চক্রান্ত দেখছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর প্রশ্ন, বিসিসিআই কবে আবহাওয়াবিদ হল? রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে আটকানোর লক্ষ্যে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষদের বঞ্চিত করা হল। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডলে পোস্টে লিখেছেন, ইডেনের ম্যাচ সরানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলার কারণে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ও ক্রীড়া দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ সিনহাকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়ামন্ত্রী তোপ দাগেন কেন্দ্র ও বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে। সিএবি-কে পাঠানো দিল্লির মৌসম ভবনের চিঠি দেখিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘সুকান্তবাবু বলছেন আইনশৃঙ্খলা।
আরও পড়ুন-পাক গোলাবর্ষণে স্বজনহারা ১৫ পরিবার, পুঞ্চে তৃণমূল, আপ্লুত এলাকাবাসী
বিসিসিআই বলছে আবহাওয়া। কে সত্যি বলছে! বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেন বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হল? কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর বলছে, জুনের প্রথম সপ্তাহে ফাইনালের দিন কলকাতায় বৃষ্টি হবে কি না, তার পূর্বাভাস এক সপ্তাহ আগে দেওয়া যায়। তার আগে নয়। তাহলে এর পিছনে রহস্য কী? ভারতে যতগুলো ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে তার মধ্যে ইডেনের জলনিকাশি ব্যবস্থা সবচেয়ে ভাল। আর কোনও স্টেডিয়ামে এত ভাল ব্যবস্থা নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ম্যাচ সরানো হয়েছে। গত চার বছরে তিনবার ফাইনাল হয়েছে আমেদাবাদে। কেন বারবার ওখানেই ফাইনাল হয়? সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ম্যাচ সরানো হয়েছে।’
কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘চক্রান্ত করে রাজ্যের উন্নয়ন আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্র আমাদের ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। এখন অন্যায় অজুহাতে আইপিএল ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই বঞ্চনার জবাব বাংলার মানুষ অতীতেও দিয়েছে, আগামী দিনেও দেবে। ভারতীয় ক্রিকেটের ৯৩ বছরের ইতিহাসে আবহাওয়ার অজুহাতে ফাইনাল সরিয়ে নেওয়ার নিদর্শন নেই। বিসিসিআই যদি এতই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ হয়, তাহলে এবারের আইপিএলে তিনটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল কেন? এর জবাব দিক বিসিসিআই।’
আরও পড়ুন-চিপস-চোর অপবাদে নিগ্রহে আত্মঘাতী ছাত্র
আইনশৃঙ্খলার কারণ উড়িয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার কথা বলা হচ্ছে। কলকাতায় ৯টা ম্যাচের মধ্যে ৭টা আইপিএলের ম্যাচ হয়েছে। কোনও সমস্যা হয়নি। রামনবমীর কারণে একটি ম্যাচের শুধু দিন পরিবর্তন হয়েছিল। কারণ, সেখানে মানুষের নিরাপত্তাজনিত ব্যাপার ছিল। কিন্তু সাতটা ম্যাচে কোনও সমস্যা হয়নি।’