প্রতিবেদন : শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের পরিবার খুশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Abhishek Banerjee) দেখা করতে আসায়। বুধবার বীরভূমের প্রত্যন্ত বেলগড়িয়া গ্রামে শহিদ রাজেশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Abhishek Banerjee) বলেন, একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অনেকে ভুলে যায়। আমরা ভুলি না। অনেকে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে। আমরা সেটাকে ঘৃণা করি। শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের বাবা-মা সকলের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁদের পাশে আমরা আছি। রাজ্য সরকারের পরিষেবাগুলো পাচ্ছেন কিনা সেটা জানতে চাইলাম। রাজ্যা সরকারের পাঁচ লক্ষ টাকা তাঁরা পেয়েছেন। শহিদের বোন শকুন্তলা ডিএম অফিসে চাকরি পেয়েছেন। তবে শহিদ রাজেশের বাবা সুভাষবাবুর কৃষকভাতার কার্ড নেই। মায়ের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। সেগুলোর ব্যেবস্থা হবে। তবে রাজেশের বাড়িতে যাওয়ার আগে তাঁর শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অভিষেক।
শহিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। গোপীনাথ ওরাং-সহ অন্যিরা একই ব্লকের বড়শাল গ্রামের টমেশ মিঞার বিরুদ্ধে গ্রামের ফুটবল মাঠ দখলের অভিযোগ করেন। দীপ্তি ওরাং নামে এক গৃহবধূ বলেন, রেশন পেতে সমস্যাক হচ্ছে। গ্রামের তিরিশটি ঘর হয়নি। তাঁর কাছ থেকে ফোন নম্বর নোট করতে বলেন অভিষেক। শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের বাবা সুভাষ ওরাং, মা মমতা ওরাং, জমাইবাবু বিপুল কোড়া, রাজেশ ওরাংয়ের দুই বোন রাজেশ্বরী কোড়া এবং শকুন্তলা ওরাং— সবাই খুব খুশি। রাজেশের বড় বোন রাজেশ্বরী কোড়ার সাত ও পাঁচ বছরের দুই মেয়ে স্বাতী কোড়া এবং মেঘা কোড়ার আদর করে গাল টেপেন অভিষেক। শহিদ পরিবারের সদস্যো বিপুল কোড়া জানান, দুই মে তাঁদের অভিষেক বন্দ্যোষপাধ্যারয়ের আসার খবর জানানো হয়। শকুন্তলা ওরাং সরকারি চাকরি পেয়েছেন এবং তাঁর পরিবার রাজ্যস সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য পান। শকুন্তলা ওরাংরা লিখিত দাবি অভিষেকের হাতে জমা দেন। তিনি জানান, আমরা গ্রামের উন্নতি চেয়েছি। জলের সমস্যাড় নেই। তবে কিছু সমস্যাা আছে। বিপুল কোড়া বলেন, রাজেশ খুব ভাল ফুটবল খেলত। তাই শহিদ মূর্তির পাশে ফুটবল মাঠ এবং আদিবাসীদের জন্যখ একটি কমিউনিটি হল চাইলাম। গ্রামের বন্ধ হওয়া প্রাথমিক স্কুল খোলার আবদার করা হয়। গ্রাম থেকে দূরে উচ্চমাধ্যামিক স্কুল আছে। কিন্তু যাওয়ার রাস্তা ভাল করলে ভাল হয়, জানালাম।
রাজেশের বোন রাজেশ্বরী কোড়া বলেন, আমাদের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোাপাধ্যািয়ের খাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেরি হওয়ায় তিনি খাননি। তবে চা-বিস্কুট খান। বাবা ও মা সকলের সঙ্গে কথা বলেন। এই প্রথম অভিষেক বন্দ্যোাপাধ্যািয় এই গ্রামে আসেন। ধামসা, মাদল ও নাকাড়ার মধ্যেভ গ্রামে ঢুকেই শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের মূর্তিতে মাল্যকদান করেন। ২০২০ সালের পনেরো জুন ভারত ও চিনের সৈন্যবদের মধ্যো লাদাখের গালোয়ানে লড়াইয়ে ভারতের ২০ জন বীর জওয়ান শহিদ হন। যাঁদের মধ্যে একজন বীরভূমের মহঃবাজার ব্লকের বেলগড়িয়া গ্রামের রাজেশ ওরাং।
এদিন বেলগড়িয়া গ্রামে অভিষেকের আগমনে সাজসাজ রব। বাড়ির সামনে মেটাল ডিটেক্টার থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যসবস্থা।
শহিদ পরিবারের সাথে কথা বলে বেরিয়ে পড়ার পর গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে ডেউচা-পাঁচামি প্রসঙ্গ। গ্রামবাসীদের মধ্যেদ সুরজিৎ ওরাং জানতে চান, ডেউচা-পাঁচামি কবে হবে? তার উত্তরে অভিষেক বলেন, সময় লাগবে। কাজ চলছে। সুরজিৎ ওরাং জানতে চান, নিয়োগ কবে হবে?
অভিষেক আশ্বস্ত করে বলেন নিয়োগ চলছে। বারোশো পুলিশে নিয়োগ হয়েছে। সুরজিৎ জানতে চান, পুলিশ ছাড়া কি অন্যব কোনও বিভাগে নিয়োগ নেই? অভিষেক তাঁকে আশ্বস্ত করেন।