দিল্লি (Delhi) মসনদ ছিল মুঘল সম্রাটদের। বংশ পরম্পরায় তাঁরা সেখানে শাসন করেছেন। সেই মুঘল (Mughal) আমলের স্থাপত্য সহ অনেক শৌধ আজও আছে। হঠাৎ সেই মুঘলদের বংশধর সম্পত্তির দাবি জানালেন। যদিও সেটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। যে লাল কেল্লার সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য রাখেন, সেই লাল কেল্লা দাবি করলেন এক মহিলা। সুলতানা বেগম মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর-২-এর প্রপৌত্রের পুত্রবধূ ছিলেন। এই মুহূর্তে তিনি স্বামীহারা। দিল্লি হাইকোর্টে গিয়ে তিনি দাবি জানান লাল কেল্লা তাঁদের, তাই তাঁকে সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হোক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিভু বাখরু এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ যদিও শুক্রবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয়। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিঙ্গল বেঞ্চ ওই মহিলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।
ডিভিশন বেঞ্চ এ মর্মে জানায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এই আবেদন করা হয়েছে, যেটা মানা সম্ভব না। যদিও মহিলা জানান তিনি তাঁর অসুস্থতার জন্য এবং তাঁর মেয়ের মৃত্যুর ফলে আবেদন জানাতে পারেননি। তবে তাঁর এই আবেদন অপ্রাসঙ্গিক বলেও উল্লেখ করেছে আদালত। ২০২১-এর ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বেআইনিভাবে দখল করা লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে আবেদন জানান বেগম। বিবেক মোরের মাধ্যমে পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে, ব্রিটিশরা পরিবারকে তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল। শুধু তাই নয়, সম্রাটকে দেশ থেকে নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল। লাল কেল্লা জোর করে মুঘলদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান বেগম লাল কেল্লার মালিক কারণ তিনি এটি তাঁর পূর্বপুরুষ বাহাদুর শাহ জাফরের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। পিটিশনে বলা হয় আবেদনকারীকে লাল কেল্লার অধিকার হস্তান্তর করতে হবে বা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।