নাজির হোসেন লস্কর: রাজ্যের কমবেশি সব জেলাতেই মহরম মাসের আশুরা পালিত হল। মঙ্গলবার শোকযাত্রায় স্মরণ করা হল ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ঘটে যাওয়া সেই যুদ্ধের দিনটিকে। যেদিন আরবের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও গণতন্ত্রের পতাকা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল জালিমের খঞ্জরে। আর জয় হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পবিত্র এই দিনে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে একতাবদ্ধভাবে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। করোনাকালের পর এ-বছর বেশ কয়েকটি জায়গায় বড় জুলুস (শোকমিছিল) বের হয়।
আরও পড়ুন-শ্রীলঙ্কায় আসছে চিনা জাহাজ, আপত্তি দিল্লির
কলকাতার গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ, আনোয়ার শাহ রোড-সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাজিয়া বের হয়। মোমিনপুর, খিদিরপুর এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি জুলুস বের হয়, যেগুলো পানবাজার কারবালায় তাজিয়া বিসর্জন দেয়। এই এলাকাসহ ভূকৈলাস থেকেও উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে নিশান বের করে। এদিকে রবীন্দ্রসরণি থেকে বউবাজার স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড, শিয়ালদা হয়ে তাজিয়া নিয়ে যায় বেলেঘাটার কারবালা প্রান্তরে। যোগ দেয় রাজাবাজারের জুলুসও। অন্যদিকে, তপসিয়া, পার্কসার্কাসের শোকমিছিল সামসুল হুদা রোড হয়ে কাশিয়াবাগানে মিলিত হয়। সাধারণ মানুষের ভিড় সামলাতে এদিন এলাকায় এলাকায় মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ ও মাইকিং ব্যবস্থা। দেশের সবচেয়ে বড় ইমামবাড়া মুর্শিদাবাদ থেকে সুদীর্ঘ জুলুস বের হয়।
আরও পড়ুন-লালুকে ছাড়া বিহার চলবে না,ট্যুইট লালুকন্যা রোহিণীর
মুর্শিদাবাদের ইমামবাড়া থেকে এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ জুলুস বের হয়ে আমানিগঞ্জ কারবালার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। হাজারদুয়ারি পেছনে রেখে মিছিল এগিয়ে এসে ওয়াশিফ মঞ্জিলের সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ মর্শিয়া (স্মৃতি-গীত) পর্ব সারে। এরপর দক্ষিণ গেট হয়ে উমরাহগঞ্জের রাস্তা ধরে মতিঝিল ছেড়ে কারবালার দিকে চলে যায় জুলুস। পাশাপাশি আসানসোল, পুরুলিয়ার আদরা, হুগলির চুঁচুড়া, মালদার কালিয়াচক, দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাজিয়া, দুলদুল, নিশান নিয়ে ছোট-বড় শোকমিছিল বের হয়।