ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে মার্কিন ডলারের ফারাক বেড়ে যাওয়ার ফলে রীতিমত চাপে পড়েছেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। ব্লুমবার্গের রিপোর্টার ভিত্তিতে জানা যায়, ভারতের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন রিলায়ান্স ইন্ড্রাস্টিজের মুকেশ আম্বানি। সব মিলিয়ে বাজার থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা লোন নিতে চলেছেন। অনেকের থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন এবং লোনের প্রক্রিয়াও শেষের পথে। নতুন বছরের প্রথম কোয়ার্টারে এই বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যবহার করতে চলেছেন মুকেশ অম্বানী। লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত থাকে। সেই সব প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই এই লোন নেবেন মুকেশ অম্বানী। আপাতত রিলায়ান্স ইন্ড্রাটিজের বাজারে ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ রয়েছে। সেই ঋণ আগামী বছরের মধ্যেই শোধ করতে হবে। তার মধ্যেই ফের একবার এত বড় লোন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন-অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের: মুখ্যমন্ত্রী
২০২৩ সালের পর সবচেয়ে বেশি অঙ্কের লোন হতে চলেছে এই অঙ্ক। ২০২৩ সালে রিলায়ান্সই বাজার থেকে বড় লোন নিয়েছিল। রিলায়ান্স এবং এর জিও ইনফোকম বাজার থেকে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোন নিয়েছিল। সব মিলিয়ে ৫৫টি সংস্থার থেকে লোন নিয়েছিল রিলায়ান্স। সংশ্লিষ্ট দফতরের মতে ভারতীয় মুদ্রার চাপ এই লোনের কারণ মনে করা হচ্ছে। মার্কিন ডলারের সঙ্গে এর রেকর্ড পার্থক্য়। সমস্যা ক্রমেই বেড়েছে সংস্থার। তাই লোনের ভাবনা রিলায়ান্সের। মোদী জামানায় সবথেকে বেশি পলাতক ঋণগ্রহণকারীরা। মাল্য, মোদী, চোক্সীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। মাল্য-নীরব-মেহুলদের সম্প্রত্তি নিলাম করে সরকারি ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের ঋণ কিছুটা হলেও উদ্ধার করেছিলেন। তবে পলাতক ওই তিন জনের কাছে ব্যাঙ্কগুলির মোট কত টাকা বকেয়া রয়েছে, সে নিয়ে বিশেষ কিছু প্রকাশ্যে আসেনি। মাল্য দেশ ছাড়ার পরে জানা গিয়েছিল, তাঁর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কমপক্ষে ৯ হাজার কোটি টাকা পাওনা। ২০২২ সালের নিরিখে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে নীরব-মেহুলের প্রতারণার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা।