প্রতিবেদন : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রুলিং চাইলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi)। বুধবার এসএসসি গ্রুপ-সি মামলার শুনানির সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির নাম উল্লেখ না করেই রোহতগি বলেন, বিচারপতির এককলমের খোঁচায় হাজার হাজার মানুষের চাকরি যাচ্ছে। ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার আগেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন। যে মামলার তাঁর কোর্টে শুনানি হচ্ছে সেই বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার পর্যন্ত দিচ্ছেন। অবিলম্বে এ জিনিস বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্ট রুল জারি করুক। অন্যদিকে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বনাম টিনা মণ্ডল মামলার শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চ এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি করে জানিয়েছেন, আপাতত তদন্ত করতে পারবে না ইডি-সিবিআই। ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এখনই এই মামলার তদন্ত করতে পারবে না। এসএসসিতে গ্রুপ-সি মামলার শুনানির সময় মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi) অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি সুধাংশুর ধুলিয়ার এজলাসে বলেন, রোস্টারের বাইরে বেরিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কাজ করছেন। সকালে বলে দিচ্ছেন দুপুর ৩টের মধ্যে চাকরি যাবে। যে কেসে শুনানি করছেন সেই মামলা নিয়ে নিউজ চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। মামলা সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার আগেই চাকরি চলে যাচ্ছে। তিনি শুনানি করছেন আর হাজার হাজার মানুষের চাকরি যাচ্ছে প্রত্যেকদিন। এটা কী হচ্ছে? এখনই সুপ্রিম কোর্ট এবিষয়ে রুলিং দিক। অন্যদিকে মাণিক ভট্টাচার্য বনাম টিনা মণ্ডল এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বনাম টিনা মণ্ডল মামলার শুনানিতে বুধবার ইডি-সিবিআই তদন্তের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২ মার্চ, ২০২৩-এ কলকাতা হাইকোর্ট এজেন্সি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়। তার ভিত্তিতেই এই নির্দেশ। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্তের নির্দেশ পেয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, নতুন করে এফআইআর করতে হবে। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে এজেন্সি। এই নির্দেশের উপরেই স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- মোদির ফতোয়ায় নাভিশ্বাস প্যান-আধার সংযুক্তিতে হাজার টাকা