হায়দরাবাদ, ২৩ এপ্রিল: আইপিএলের শুরুতে তাঁর ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ভক্তরা। অস্বস্তিতে ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ছন্দে ফিরে সেই রোহিত ‘হিটম্যান’ শর্মা আবারও ‘মুশকিল আসান’ মুম্বইয়ের (Mumbai Indians)। ‘ফর্ম সাময়িক, কিন্তু মান চিরস্থায়ী’-অতি ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে যাওয়া আপ্তবাক্যটি এখন রোহিতের নামের পাশে বেশ মানানসই। আগের ম্যাচে ৭৬ রান করে দলকে জিতিয়েছেন। আর বুধবার রো-হিটে আরও একটা দুরন্ত ইনিংস। ৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কায় ভিন্টেজ রোহিত যখন ৪৬ বলে ৭০ রান করে আউট হলেন, ততক্ষণে ম্যাচ মুম্বইয়ের হাতের মুঠোয়। ক্রিজে সেট ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। রিকেলটন শুরুতে ফেরার পর প্রথমে উইল জ্যাকস (১৯ বলে ২২) এবং পরে সুর্যর (১৯ বলে ৪০ অপরাজিত) সঙ্গে রোহিতের জুটিই মুম্বইয়ের জয় নিশ্চিত করে। নিজেদের ডেরায় আরও এক হার হায়দরাবাদের। কমলা ব্রিগেডের মাত্র ১৪৩ রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বই। টানা চার জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এল মুম্বই। আর টানা হারে কামিন্সদের সামনে বিদায়ের ভ্রুকুটি।
আরও পড়ুন- জঙ্গিহানার নিন্দা ও শোক সুপ্রিম কোর্টের
টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করে ঘরের মাঠে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে হায়দরাবাদ। মুম্বইয়ের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে প্রথম ২৫ বলে ১৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় কামিন্সের দল। তবু হায়দরাবাদ লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয় হেনরিখ ক্লাসেনের ৭১ রানের ইনিংসের কারণে।
হায়দরাবাদের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা চলছেই। প্রথম ম্যাচে ২৮৬ রানের বিশাল স্কোর করার পর অরেঞ্জ আর্মির শক্তিশালী টপ অর্ডারের খারাপ ফর্ম অব্যাহত। এদিন দীপক চাহার এবং ট্রেন্ট বোল্টের দাপটে ইনিংসের শুরুতেই দিশাহারা হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। ট্রাভিস হেড (০) ফের ব্যর্থ। মাঝে অভিষেক শর্মা রানে ফিরলেও এদিন মাত্র ৮ রান করে আউট হন। ঈশান কিশান (১) রান করাই যেন ভুলে গিয়েছেন। অথচ এদিন ঈশানের আউট নিয়ে নাটক হল। আউট না হয়েও সাজঘরের দিকে হাঁটা দেন। রিপ্লেতে দেখা গেল, তিনি আউট ছিলেন না। নীতীশ রেড্ডি (২), অনিকেত ভার্মারা (১২) ক্রিজে এলেন এবং থিতু হওয়ার আগেই ডাগ আউটে ফিরলেন।
৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা হায়দরাবাদের ইনিংসে অক্সিজেন সরবরাহ করে ক্লাসেনের চওড়া ব্যাট। দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ব্যাটার কার্যত একার কাঁধেই দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন। অন্য প্রান্তে ক্লাসেনকে যোগ্য সঙ্গত করেন অভিনব মনোহর। ক্লাসেনের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৭১ রানের ইনিংস। ৯টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো তাঁর ইনিংস। অভিনব করেন ৩৭ বলে ৪৩ রান। এই জুটির জন্যই ২০ ওভারে কিছুটা ভদ্রস্থ রান করতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। মুম্বইয়ের হয়ে বোল্ট ৪ উইকেট নেন। চাহার ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ক্লাসেনকে আউট করে টি-২০তে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন জসপ্রীত বুমরা।সেইসঙ্গে মুম্বইয়ের হয়ে ১৭০ উইকেট নিয়ে লাসিথ মালিঙ্গার রেকর্ড ছুঁলেন বুমরা।