মুম্বই, ২ এপ্রিল : ঈশান কিসান আবার রান পেলেন (৫৪)। তিলক ভার্মাও (৬১) হাফ সেঞ্চুরি করে গেলেন। কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসের ১৯৩-৮ কে তাড়া করতে গিয়ে রান দরকার ছিল রোহিত শর্মার (১০) ব্যাটে। তিনি সেটা করতে না পারার ফল ভুগল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারা হেরে গেল ২৩ রানে।
এই নিয়ে টানা দুটি ম্যাচে হারল মুম্বই। ৪০ রানের মধ্যে রোহিত ও আনমোলপ্রীত আউট হওয়ার পর ৮১ রানের পার্টনারশিপ খেলে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন ঈশান ও তিলক। কিন্তু এই দু’জন ফিরে যাওয়ার পর কেউ আর সাইনি ও চাহালের মোকাবিলা করতে পারেননি। দু’জনেই দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন-আজ পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয়ের খোঁজে ধোনিরা
রোহিত পাঁচ বল খেলেছেন। তাঁকে ফিরিয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। তবে ঈশান-তিলক জুটি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল জয়ের দিকেই যাচ্ছে মুম্বই। কিন্তু তাঁরা ফিরে যাওয়ার পর সেই সম্ভাবনায় তালা পড়ে যায়। পোলার্ড ২২ রান করলেও মুম্বইকে জেতাতে পারেন, এটা কখনও মনে হয়নি।
তৃতীয় উইকেটে জস বাটলার আর সঞ্জু স্যামসন মিলে ৭২ রান তুলে ফেলার পর মনে হচ্ছিল দু’শো পার করবে রাজস্থান। তারা কাছাকাছি গেল। সেটা বাটলারের জন্য। ৬৮ বলে ১০০ করে গেলেন এদিন। চলতি আইপিএলের এটাই প্রথম সেঞ্চুরি।
এগারোটি চার, পাঁচটি ছক্কা। বুমরা ছাড়া কেউ ছাড় পাননি বিধ্বংসী ইংরেজ ওপেনারের হাতে। উপায় না দেখে রোহিত ছ’জন বোলার ব্যাবহার করলেন। কিন্তু বুমরা ছাড়া বাকিরা বাটলারের সামনে উড়ে গেলেন।
আরও পড়ুন-শেষ মুহূর্তেও চক্রান্তের তত্ত্ব ইমরানের মুখে, আজ পাকিস্তানে আস্থা ভোট
বিকেলের এই ম্যাচে সবথেকে করুণ দেখাল থাম্পিকে। তিনি এক ওভারে দেন ২৬ রান। কাছাকাছি থাকলেন পোলার্ড। চার ওভারে ৪৬। বলার মতো পারফরম্যান্স একা বুমরার। চার ওভারে ১৭ রানে তিনটি উইকেট। এরমধ্যে বাটলারেরটাই সেরা। বোল্ড করলেন দুর্দান্ত ইয়র্কারে।
৪৮ রানের মধ্যে যশস্বী আর পারিক্কালকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল রাজস্থান। কিন্তু বুমরা ছাড়া মুম্বই বোলিংয়ে এমন কেউ ছিলেন না যিনি চাপ ধরে রাখতে পারেন। সঞ্জু ৩০, হেটমেয়ার ৩৫ রান করেছেন। এর সঙ্গে বাটলারের ১০০। আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। পারলে ১৯৩-৮ নয়, রাজস্থান দু’শোর ওপারে যেত।