ব্যুরো রিপোর্ট: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের কড়া বার্তার পরই ব্যবস্থা। বে-আইনি দখলমুক্ত অভিযান শুরু করেছে পুরসভা ও প্রশাসন। উত্তরের জেলায় জেলায় মঙ্গলবার থেকেই ওই কাজ শুরু হয়েছে। বুধবারও উত্তরজুড়ে সরকারি জমি দখলমুক্তির অভিযান হল। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, মালদহ, কোচবিহরে আবহাওয়া উপেক্ষা করেই চললঅভিযান। শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় দখলমুক্তির অভিযান চালায় পুলিশ। প্রথমে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বেসরকারি মলের, পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরের দোকানগুলিকেও সরানো হয়। আলিপুরদুয়ারে ফায়ার ব্রিগেড, কোট মোড়, কলেজ হল্ট লাগোয়া ফুটপাথের উপর বেআইনি ভাবে জবর দখল করাদের তুলে দেওয়া হয়। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টির তদারকি করা হয়েছে৷ এই অভিযানে ছিলেন মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শ্রীনিবাস এমপি, পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর, আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ধূপগুড়ি-সহ জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকাতেই দখলমুক্তি অভিযান চলে। মালদহের ইংরেজবাজার থানার পুলিশের উপস্থিতিতে শহরের ফোয়ারা মোড়, চিত্তরঞ্জন পৌরবাজার,রাজ হোটেল মোড় সংলগ্ন এলাকায় চলে বেআইনি দখলমুক্তি অভিযান। ছিলেন সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং, ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, আইসি সঞ্জয় ঘোষ প্রমুখ। এ বিষয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, প্রথম দিন মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। অবিলম্বে সেগুলি সরিয়ে না নিলে ভেঙে ফেলা হবে। গোয়ালপোখরে পাঞ্জিপাড়া ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অভিযান চালানো হয় প্রশাসনের তরফে। সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারের নির্দেশ আসতেই অভিযান চালায় প্রশাসনের কর্তারা। যারা ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিল, তাদের দুই দিনের মধ্যে সমস্ত জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নির্দেশ অমান্য করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কোচবিহার শহরের জেনকিন্স মোড়ে, সুনীতি রোডের ধারে অবৈধভাবে সরকারি রাস্তা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছিল ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জামাকাপড়ের দোকান জুতোর দোকান, চা ও রুটি পরোটা বিক্রির দোকান চলছিল রাস্তা দখল করে। টিনের বেড়া বা বাঁশের বেড়া দিয়ে ফুটপাত দখল করে এই ব্যবসা চলছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার জেরে ব্যাপক যানজট হচ্ছিল। ওই জায়গাগুলিকেও দখলমুক্ত করা হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখলমুক্তির অভিযান চলবে।
আরও পড়ুন- প্রতিবাদে সরব বার কাউন্সিল