প্রতিবেদন : মহানগরীর হকারদের নিয়ে এবারে যৌথ সমীক্ষা চালাবে কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ। নিয়ম ভেঙে রাস্তা বা ফুটপাথের সুনির্দিষ্ট অংশের বেশি জায়গা দখল করে কোন কোন এবং কত হকার ব্যবসা চালাচ্ছে, সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতেই এই সমীক্ষা। ৮ নভেম্বর থেকেই শুরু হবে প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা। চলবে ১৫ দিন। গড়িয়াহাট, নিউমার্কেট এবং হাতিবাগান— শহরের এই তিনটি মূল হকার অধ্যুষিত এলাকাকে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে এই কাজে।
আরও পড়ুন-গেস্ট হাউসে রহস্যমৃত্যু
পরিস্থিতি গভীরভাবে খতিয়ে দেখে সমীক্ষকরা রিপোর্ট পেশ করবেন টাউন ভেন্ডিং কমিটিতে। পরে গোটা মহানগরী জুড়েই শুরু হবে হকার শুমার। তারপরে আইন মেনে যাঁরা হকারি করছেন তাঁদের চিহ্নিত করে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রকৃত হকারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পরিচয়পত্র। কেন্দ্রীয় পুরভবনে পুলিশের পদস্থ আধিকারিক, হকারদের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্প্রতি এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। সেখানেই ব্যাখ্যা করা হয় সমীক্ষার উদ্দেশ্য, স্থির করা হয় রূপরেখা। এর আগে পুরসভা একই ধরনের সমীক্ষা এবং শুমার চালিয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই সময়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহানগরীর হকারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৮,০০০। পরের ৫-৬ বছরে শহরে হকারের সংখ্যা নিঃসন্দেহে আরও বেড়েছে বলে মনে করছে পুরকর্তৃপক্ষ। নীতিগতভাবে হকার উচ্ছেদের বিরোধী হলেও বিধিভঙ্গ করে জায়গা দখল যে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দেবাশিস কুমার।