প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হল কড়াকড়ি। শহরের সমস্ত রুফটপ ক্যাফে-বার-রেস্তোরাঁ বন্ধের নিদান দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সরকারিভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ করতে হবে শহরের সমস্ত রুফটপ ক্যাফে-বার-রেস্তোরাঁ। পুরসভা সাফ জানিয়েছে, নিয়ম না মানলে বার-রেস্তোরাঁ-ক্যাফেগুলি ভেঙে দেওয়া হবে। কোন থানা এলাকায় ক’টি রুফটপ রেস্তোরাঁ রয়েছে, পুলিশের তরফে সেই তালিকা দেওয়া হয়েছে পুরসভাকে। তালিকা অনুযায়ী বন্ধ হতে চলেছে শহরের মোট ৮৩টি নামী ছাদ-রেস্তোরাঁ।
আরও পড়ুন-২৩ বছর ধরে মামলা, গুজরাত হাইকোর্টের বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ, মোদির পুলিশের কারণেই ভয়ঙ্কর গোধরা
তালিকায় রয়েছে পার্ক স্ট্রিট এলাকার সাতটি রুফটপ বার-রেস্তোরাঁ, শেক্সপিয়র থানা এলাকার আটটি, ভবানীপুর থানা এলাকার তিনটি, টালিগঞ্জের থানা এলাকার দু’টি রুফটপ ক্যাফে-সহ নিউ আলিপুর, চেতলা, বেলেঘাটা, ট্যাংরা, বড়বাজার, গিরীশ পার্ক, হেয়ার স্ট্রিট, নিউ মার্কেট, কসবা, আনন্দপুর ও যাদবপুরের বহু নামজাদা রুফটপ ক্যাফে-বার-রেস্তোরাঁ। বহুতলে আগুন লাগলে মানুষ যাতে ছাদের উপর আশ্রয় নিতে পারেন এবং সেখান থেকে তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা যেতে পারে, তার জন্যই বহুতলের ছাদ ফাঁকা রাখার নিদান দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।
আরও পড়ুন-মাদ্রাসায় মেয়েদের ম্যাজিক
শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এই নির্দেশের পরই ময়দানে নেমে পড়েছে পুরকর্মীদের দল। শনিবার শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পার্ক স্ট্রিটে অভিযান চালিয়েছেন পুরকর্মীরা। ভাঙা হয়েছে ম্যাগমা হাউসের বেআইনি অংশ। পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তালিকা ধরে ধরে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে রেস্তোরাঁগুলির মালিকদের। নবান্নের তরফে বিশেষ কমিটি গঠন করে শহরের হোটলগুলির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কীভাবে ঢেলে সাজানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। তার আগে পর্যন্ত সমস্ত রুফটপ ক্যাফে-রেস্তোরাঁ বন্ধ করা নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও পুরসভা। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের পরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুরসভা। বৃহস্পতিবার পার্ক স্ট্রিটের ম্যাগমা হাউসে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ, পুরসভা ও দমকলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি।