প্রতিবেদন : ত্রিকোণ প্রেমে জেরেই বন্ধুকে খুন! দক্ষিণেশ্বর মেট্রো (dakshineswar murder case) স্টেশনে স্কুল ছাত্র মনোজিৎ যাদবকে খুনে পুলিশি জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছে মূল অভিযুক্ত রানা সিং। শুক্রবার দুপুরে বাগবাজার বয়েজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া রানা ও মনোজিতের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়েছিল শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন থেকেই। রানার প্রেমিকাকে নিয়ে মনোজিতের কটূক্তিকে কেন্দ্র করেই দু’জনের মধ্যে বচসার সূত্রপাত। কিন্তু ত্রিকোণ প্রেমের এমন করুণ পরিণতি হবে, তা কে জানত!
শ্যামবাজার স্টেশনে মেট্রো চলে আসায় তখনকার মতো বচসা স্থগিত রেখে অন্য সহপাঠীদের নিয়ে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রোয় উঠে পড়ে তারা। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে (dakshineswar murder case) নেমে ফের বচসা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রানা ও মনোজিৎ দীর্ঘদিনের সহপাঠী। কিছুদিন আগে রানা নিজের প্রেমিকার সঙ্গে মনোজিতের পরিচয় করায়। তারপর থেকেই দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। কোনওভাবে রানার ফোন থেকেই তার প্রেমিকার নম্বর নিয়ে কথাবার্তা শুরু করে মনোজিৎ। যা মেনে নিতে পারেনি রানা। সেই নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর হাতাহাতিতে জড়ায় দু’জনে। যদিও তখনকার মতো ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়।
কিন্তু শুক্রবার সেই বচসা ব্যাপক আকার নেয়। হাতাহাতির মধ্যেই দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে মনোজিৎকে আক্রমণ করে রানা। তারপর সবাই যখন মনোজিৎকে নিয়ে ব্যস্ত, সেই ফাঁকে দ্রুত স্টেশন থেকে বেরিয়ে বরানগরের আলমবাজারে বাড়িতে পৌঁছয় রানা। পরিবারের প্রশ্নের মুখে খুনের কথা স্বীকার করে সে। তারপরই বাবা, মা এবং বোনের সঙ্গে রেলপথে বিহারের বেগুসরাই পালানোর ছক কষে রানা। সড়কপথে পৌঁছয় তাঁরা। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় পুলিশ।
ত্রিকোণ প্রেমেই সর্বনাশা পরিণতি
