অর্ক দাস, কৃষ্ণনগর: প্রায় বিলীন হয়ে-যাওয়া মসলিন শিল্পের পুনরুজ্জীবনে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নদিয়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী খতিয়ান তুলে ধরে জানান, নদিয়ার কুটিরশিল্প নিয়ে তৃণমূল সরকারের আমলে কী কী কাজ হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর নদিয়ায় এসে জানতে পারি, নদিয়ার মসলিন শিল্পী মাত্র ছয় জন অবশিষ্ট আছেন। তার পরেই মসলিনকে কীভাবে বিশ্বে সমাদৃত করা যায় এবং এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা যায় তার প্রচেষ্টা শুরু করেন। এরপরই তিনি গড়ে তোলেন মসলিনতীর্থ। এই মসলিনতীর্থের মাধ্যমে বাংলার বস্ত্রশিল্পের গৌরব পুনরুদ্ধার হয়। নবাব আমল থেকেই তৈরি হয়ে থাকা মসলিন জগৎ-বিখ্যাত ছিল, শুধুমাত্র কারুকার্য নয়, সুতোর মাধ্যমে তৈরি এই শিল্পের কারিগরেরা এতই দক্ষ ছিলেন একটি আংটির মধ্যে দিয়ে পুরো শাড়িটিকে প্রবাহিত করতেন।
আরও পড়ুন-বকেয়া চেয়ে ফলতায় মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে কমিশনের পর্যবেক্ষক
মুসলিম কারিগরের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কথায় স্বীকৃতি দিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী এইভাবে পাশে না দাঁড়ালে বাংলার কুটিরশিল্প থেকে চিরতরে হারিয়ে যেত মসলিন। এদিনের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নদিয়া জেলায় মসলিনতীর্থের পাশাপাশি তিনি মৃৎশিল্পের হাব, কাঁসা-পিতলের শিল্প হাবও প্রতিষ্ঠা করেছেন। নদিয়া বরাবরই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য জগৎ-বিখ্যাত, কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া, সরভাজা তার মধ্যে অন্যতম। নদিয়ার সেই জগৎ-বিখ্যাত মিষ্টান্নদ্রব্যকে বিশ্ববাজারে তুলে আনার জন্য শুরু করা হয় সরতীর্থ।

