সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার, ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা এলাকার এক বেসরকারি অতিথিশালার পাঁচতলার একটি রুমে ভাড়া থাকতেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্য। সিনিয়র রেসিডেন্স ছিলেন। দীপ্র বৃহস্পতিবার কলকাতার বেহালার বাড়ি থেকে ফিরে এসেছিলেন। বাড়ি থেকে এসে অতিথিশালার রুমের ভিতরে ছিলেন।
আরও পড়ুন-পৌষমেলা আয়োজনে ব্যবসায়ী সংঘের দরবার বিশ্বভারতীর কাছে
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী বারবার ফোন করে না পাওয়ায় চিকিৎসকের এক বান্ধবীকে বিষয়টি জানান। ওই বান্ধবী হোটেলে গিয়ে ম্যানেজারকে বলেন। ওঁরা অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন তিনি বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। জানানো হয় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশকে। দেহটি ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট ও ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, তাতে ছিল কেটামাইন। দীপ্র এসআর আনেস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এমডি করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে যোগ দেন। দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বাড়িতে বাবা-মা ও স্ত্রী রয়েছেন। ঠিক কী কারণে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি সিরিঞ্জ-সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে সেগুলো ফরেনসিকে পাঠানো হবে।