প্রতিবেদন : ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি ঘুরে বেড়ানো চারটি চিনা জাহাজের (Chinese ships) রহস্যময় গতিবিধি ঘিরে চাপ বাড়ছে নয়াদিল্লির। চিনা জাহাজগুলিকে ঘিরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগও উঠছে। ফলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই জাহাজগুলির গতিবিধিতে নজর রাখা হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে পারে ভারত। এই সময়ে ভারতের উপকূলবর্তী এলাকায় চিনা জাহাজের চলাচল ভারতকে চিন্তায় ফেলেছে। একইসঙ্গে এই জাহাজগুলিকে নোঙর করতে দেওয়া প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কার অবস্থান কী, সে দিকেও নজর রাখছে ভারত।
আরও পড়ুন- কোপা আমেরিকা: আর্জেন্টিনা পেল কানাডাকে, ব্রাজিলের গ্রুপে কোস্টারিকা
শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এলাকায় যে চারটি চিনা জাহাজ (Chinese ships) রয়েছে তাদের নাম— শিয়াং ইয়াং হং ০১, শিয়াং ইয়াং হং ০৩, ইউয়ান ওয়াং ০৩ এবং ডা ইয়াং হাও। এদের মধ্যে শিয়াং ইয়াং হং ০১ ও ০৩ শ্রীলঙ্কার খুব কাছেই রয়েছে। বাকি দু’টি রয়েছে আরও কিছুটা দূরে। ইউয়ান ওয়াং ০৩ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলের কাছে। ডা ইয়াং হাওয়ের অবস্থান ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কার মাঝামাঝি একটি স্থানে। জাহাজগুলির গতিপথ বিশ্লেষণ করে ভারতীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, সেগুলি ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকেই এগিয়ে আসছে। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বন্দরে তারা নোঙর ফেলার অনুমতি চাইতে পারে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে শিয়াং ইয়াং হং ০৩ জাহাজ নোঙর করতে কলম্বোর কাছে অনুমতি চেয়েছিল বেজিং। তখন চিনের দাবি ছিল, এই জাহাজটি গবেষণা চালানোর জন্য এই অঞ্চলে এসেছে। সেই যুক্তি শুনেও শ্রীলঙ্কা তখন চিনকে তাদের জাহাজ নোঙর করার অনুমতি দেয়নি। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি শ্রীলঙ্কার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তারা যেন তাদের কোনও বন্দরে চিনা জাহাজ নোঙর করার অনুমতি না দেয়। শ্রীলঙ্কার প্রবল আর্থিক সঙ্কটের সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কৃতজ্ঞতাতেই এই দ্বীপরাষ্ট্র চিনা জাহাজ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিল। তবে এবার কী হবে সেদিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি।