সংবাদদাতা, কোচবিহার : জোড়া খুনে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। তদন্তে একের পর সূত্র খুঁজে পাচ্ছে পুলিশ। এলাকাবাসী-সহ খুনির পরিচিত একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে সোমবার সকালে বাবা-খুনের পর বাইক নিয়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্ত প্রণব। ডাউয়াগুড়ি থেকে মাত্র ৩৫ কিমি এগোলেই অসম। তবে কি আসমে গা-ঢাকা দিয়েছে খুনি? উঠে আসছে এমনই একাধিক প্রশ্ন। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারের (Cooch Behar Murder) ডাউয়াগুড়ি গ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পার্থপ্রতিম রায়েরা। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এই ঘটনা মর্মান্তিক। তাঁর গ্রামের বাড়িও এই গ্রামে। এভাবে পর পর খুন করে অভিযুক্ত পালিয়ে আছে৷ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেই গোটা ঘটনা স্পষ্ট হবে। পার্থপ্রতিম রায় বলেন, অভিযুক্ত যুবক সবসময় গভীর নেশাগ্রস্ত ছিল বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা৷ তাঁরা চান অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করুক পুলিশ। উল্লেখ্য, কোচবিহারের (Cooch Behar Murder) ডাউয়াগুড়ির বৈশ্যপাড়া থেকে সোমবার আলমারিবন্দি বাবা বিজয়কুমার বৈশ্যের (৬৫) দেহ উদ্ধার করেছিল কোতোয়ালি থানার পুলিশ৷ এরপরে পুলিশ তদন্তে নেমে নিখোঁজ পিসতুতো দাদা গোপাল রায় (৪৫)-এর দেহ উদ্ধার করেছিল। জানা গেছে বছরখানেক আগে অভিযুক্তের মা ও পিসির মৃত্যু হয়েছিল অসুস্থতায়। এরপরেই চরম নেশা করার মাত্রা বাড়িয়েছিল অভিযুক্ত প্রণবকুমার বৈশ্য৷ মদ-গাঁজা-সহ সব ধরনের নেশায় আশক্ত ছিল এই অভিযুক্ত।