নবান্ন অভিযান ষড়যন্ত্র! TMCP-র সভা থেকে তোপ দাগলেন তৃণাঙ্কুর-সায়নী

Must read

২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসে সভা মঞ্চ থেকে বিজেপি একযোগে তোপ দাগলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং সাংসদ সায়নী ঘোষ।

সায়নী বলেন,”শিক্ষার প্রগতি, সঙ্ঘবদ্ধ জীবন, দেশপ্রেম, তিনটে নীতির জন্য দরকার সততা, নিষ্ঠা এবং ত্যাগ। এর ছাত্র পরিষদ তৈরি। গতকাল দেখলাম বিজেপি কীভাবে ছাত্র সমাজের ভেক ধরে রাস্তায় নেমে বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টা করল। তারা শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে পুলিশকে ঢিল ছুঁড়ল। শান্তিপূর্ণভাবে পুলিশের ওপর চড়াও হল। বুঝতে বাকি নেই এটি ষড়যন্ত্র। প্রত্যেকটি আন্দোলনের একটি গড়িমা থাকে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ডাক্তার, সাধারণ মানুষের যে গড়িমা ছিল তা বিজেপি তাদের গুণ্ডাদের দল একমিনিটে ধুলিস্যাৎ করেছে। বিজেপি একটা আন্দোলনকে নোংরামিতে নামিয়ে এনেছে। আমাদের লড়াই শুরু হয়েছে, থেমে যায়নি। অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা দমে গেলেও আমাদের নেত্রীরা দমে যায়নি। তাই মাথায় রাখতে হবে, মিথ্যে রটনা রটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, ধর্মের তাস খেলে বাংলাকে জয় করা যাবে না। ধর্ম শুধু সাধনা নয় ধর্ম শুধু কর্ম নয়, ধর্ম হচ্ছে সৎভাবনা, ধর্ম হচ্ছে মানবিকতা, এবং ধর্ম হচ্ছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষকে ভালোবাসা। বিজেপি গোটা দেশে ধর্মের নামে অশান্তি করে বাংলায় তা করতে পারে না।”

আরও পড়ুন-দাবি এক-দফা এক ‘ধর্ষণ বিরোধী আইন’: TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে গর্জে উঠলেন অভিষেক

তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান,”আজকের এই সভা শুধুমাত্র ছাত্র পরিষদের সভা হয়ে ওঠেনি, আজকের এই সমাবেশ ছাত্রদের আন্দোলনের সমাবেশ হয়ে উঠেছে। আজকে যেভাবে এই সমাবেশকে আটকানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপি স্বৈরাচারী দল যেভাবে এই সমাবেশ আটকানোর চেষ্টা করেছিল।বিজেপি ট্রেন, বাস অবরোধ করেছিল ছাত্রদের আটকানোর জন্য। কিন্তু তা হয়নি, টিএমসিপি-র হাজারো হাজারো ছাত্ররা আজ প্রমাণ করছে বিজেপি আমাদের আটকাতে পারবে না। বিজেপি তৃণমূলের ছাত্র সমাজকে ভয় পেয়েছে। আর জি করের ঘটনা নিন্দনীয়, ন্যক্কারজনক। বিজেপি রোজ মিথ্যে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। টিএমসিপি-র ছাত্রদের আহ্বান, আমরা প্রত্যেকটা ফেক নিউজের সঠিক তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরব। বিজেপি রাজনৈতিকভাবেই নয় প্রশাসনিক ভাবেও ভয় পেয়েছে। রাজ্যপালের কিছু করিয়ে দেওয়া উপাচার্য তাঁরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আমরা চাই আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করুক সিবিআই। আমরা দোষীর ফাঁসিই চাই।”

Latest article