অশান্তি রুখতে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নবান্ন, যান-নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাফিক পুলিশের

পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন রাস্তা এড়িয়ে যেতে হবে। ট্রাফিক সচল রাখতে সর্বপ্রকার ব্যবস্থা রেখেছে পুলিশ।

Must read

প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যনারে ডাকা বেআইনি ও অবৈধ নবান্ন অভিযানের নামে রাজ্যে অরাজকতা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশাসনের তরফে তাই সমস্তরকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অশান্তি রুখতে রাখা হয়েছে বিপুল পুলিশি ব্যবস্থা। পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন রাস্তা এড়িয়ে যেতে হবে। ট্রাফিক সচল রাখতে সর্বপ্রকার ব্যবস্থা রেখেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-এবার কি পদত্যাগ করবেন কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী? চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ধর্ষণ ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে

রাজ্যের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, কেন বেছে বেছে ইউজিসি নেট পরীক্ষার দিনটিকে নবান্ন অভিযানের জন্য বেছে নেওয়া হল। কলেজ স্কোয়ার, সাঁতরাগাছি ও হাওড়ার দিক থেকে আসা মিছিল আটকাতে জেলা থেকেও পদস্থ পুলিশ কর্তাদের শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। হাওড়া শহরের একাধিক পয়েন্টে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। সাঁতরাগাছি, বেলেপোল, হাওড়া ময়দান, ফোরশোর রোড এবং দক্ষিণ হাওড়ার লক্ষ্মীনারায়ণতলা এবং মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। নবান্নের আশেপাশের বিভিন্ন গলির মুখেও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তৈরি থাকবে পুলিশ, র‍্যা ফ এবং কমব্যাট ফোর্স। জলকামান এবং ড্রোনের ব্যবস্থা রাখা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের জন্য চারজন আইজি রাঙ্কের পুলিশ অফিসার ছাড়াও ডিআইজি এবং এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ২ হাজারের বেশি পুলিশ কর্মীকে রাস্তায় মোতায়েন করা হবে।
এদিকে, কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার বিদ্যাসাগর সেতু এবং র‍্যাম্প, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোড, কোল বার্থ রোড, রিমাউন্ট রোড, কলকাতা ডক এবং কলকাতা বন্দরের সংযোগকারী ফিডার রোড-এর ভোর ৪টে থেকে রাত দশটা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মধ্য কলকাতার জওহরলাল নেহরু রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, রেড রোড, নিউ রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, আউটরাম রোড, খিদিরপুর রোড, হসপিটাল রোড, লাভার্স লেন, কুইন্সওয়ে, ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ, ক্যাথিড্রাল রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট,কাউন্সিল হাউস স্ট্রিট,কিংসওয়ে, সেন্ট জর্জেস গেট রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট, কালাকার স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড এবং হাওড়া ব্রিজ দিয়েও ভারী গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি যাত্রিবাহী গাড়িও প্রয়োজন অনুসারে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র যেসব পণ্যবাহী গাড়ি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার, অক্সিজেন, দুধ, ওষুধ, আনাজপাতি, ফলের মতো বিভিন্ন জরুরি এবং পচনশীল জিনিসপত্র বহন করবে, সেগুলিকে ছাড় দেওয়া হবে।

Latest article