সংবাদদাতা, তমলুক : জমি আন্দোলনকে ঘিরে ১৪ বছর আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে গিয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস। সেই নন্দীগ্রামেই আবার শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ। এবারেও ক্ষতিপূরণ নিয়ে অসন্তুষ্ট জমির মালিকদের একাংশ। পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, মাটির নিচে পাতা হবে গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (গেইল) প্রাকৃতিক গ্যাসের লাইন। উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর থেকে এ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এবং ঝাড়খণ্ডের বোকারো হয়ে পাইপলাইন যাবে ওড়িশার ধামরা পর্যন্ত। এর জন্য পূর্ব মেদিনীপুরে বসবে ৬২ কিলোমিটার পাইপলাইন। তা যাবে তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী, মহিষাদল, নন্দকুমার-সহ একাধিক ব্লকের ৫৩টি মৌজা দিয়ে। পাইপলাইন যাবে মাটির পাঁচ ফুট নিচে দিয়ে।
আরও পড়ুন : প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখল স্ট্যান্ডিং কমিটি
প্রশাসন সূত্রে প্রকাশ, যেসব জমির নিচ দিয়ে পাইপলাইন যাবে, সেই জমির মালিকানা বদল হবে না। তবে তার উপর কোনও স্থায়ী নির্মাণ করা যাবে না। থাকলে ভেঙে ফেলতে হবে। ইতিমধ্যে জমি-অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে ইচ্ছুক জমিদাতাদের সঙ্গে চলছে আলোচনা। তমলুক ব্লকের তেঘরি গ্রামে শনিবার শিবির করেছে প্রশাসন। ভূমি দফতর এবং গেইলের আধিকারিকরা ছিলেন। স্থানীয়দের জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। কে কত ক্ষতিপূরণ পাবেন, সে নিয়েও আলোচনা হয়। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘যে জায়গা নেওয়া হবে, শেষ ছ’ মাসে কত টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। তার সর্বাধিক ও সর্বনিম্ন মূল্যায়ন করে গড় মূল্য বের করা হচ্ছে। মানুষের আরও চাহিদা থাকতে পারে। সেটা আলোচনা করেই ঠিক করব। জোর করে জমি নেওয়া হবে না।”