নয়াদিল্লি, ১১ অগাস্ট : সোমবার লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল জাতীয় ক্রীড়া বিল। যাকে স্বাধীনতার পর ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে সবথেকে বড় সংস্কার বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। এদিন বেলা দুটোর পর লোকসভা ফের বসলে, জাতীয় ডোপিং বিরোধী বিলও পাশ হয়ে যায়।
জাতীয় ক্রীড়া বিল (National Sports Bill) পাশের পর কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, স্বাধীনতার পর ক্রীড়াক্ষেত্রে সবথেকে বড় সংস্কার এই বিল। এই বিলের সাহায্যে দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা, বিচার নিশ্চিত করা এবং সেরা প্রশাসনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেকটি ক্রীড়া সংস্থাকে এক ছাতার তলায় আনা সম্ভব হবে। ভারতীয় খেলাধুলোয় এই বিলের তাৎপর্য অপরিসীম। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনের জন্য বিড করবে ভারত। তার আগে জাতীয় ক্রীড়া বিল পাশ হওয়াটা জরুরি ছিল বলেই জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এই বিল অনুযায়ী, প্রতিটি ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে নিয়মিত কর্মসমিতির নির্বাচন করতে হবে। প্রতি বছর অডিট করতে হবে। নইলে তাদের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হবে। পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া ট্রাইব্যুনাল গড়ে তোলা হবে। যেখানে ক্রীড়াভেত্রে যাবতীয় মামলার মীমাংসা করা হবে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় ক্রীড়া বিলে (National Sports Bill) আগেই দু’টি সংশোধন করা হয়েছিল। এক—ভারত সরকারের কাছ থেকে যে সব ক্রীড়া সংস্থা আর্থিক সাহায্য নেবে, তারাই শুধু রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট বা আরটিআইয়ের আওতায় আসবে। দুই— জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি, সচিব বা কোষাধ্যক্ষ হওয়ার জন্য প্রার্থীদের হয় সর্বোচ্চ স্তরের ক্রীড়াবিদ হতে হবে। নইলে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার এক্সিকিউটিভ কমিটিতে ন্যূনতম একটা টার্ম পূর্ণ করতে হবে। বা নিজের রাজ্যের অনুমোদিত সংস্থার সভাপতি, সচিব বা কোষাধ্যক্ষ হতে হবে।
লোকসভায় পাশ হল জাতীয় ক্রীড়া বিল
