শুরু হল জাতীয় থিয়েটার উৎসব

এবারে মোট ১৭টি থিয়েটারের দল অংশগ্রহণ করছে। সাতটি রাজ্যের, বাকি দশটি ভিন রাজ্যের। প্রত্যেকবারই তথ্য সংস্কৃতি দফতর বিজ্ঞাপন দেয়।

Must read

প্রতিবেদন : ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সৃজনশীলতার মানে বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরেই সাংস্কৃতিক জগৎ পেয়েছে এক নতুন মাত্রা। তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই এবছরের ন্যাশনাল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল নতুনভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে।
শনিবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হল জাতীয় থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল। চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। মধুসূদন মঞ্চে নাট্য উৎসবের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মিনার্ভা নাট্যসংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু, ভাইস চেয়ারপার্সন অর্পিতা ঘোষ, কৌস্তুভ তরফদার, অনুপ গায়েন প্রমুখ। মধুসূদন মঞ্চের পাশাপাশি থিয়েটার দেখা যাবে গিরিশ মঞ্চেও। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুধুমাত্র এই একটি বিষয়ে নয় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নাট্যোৎসব, ক্লাসিক্যাল মিউজিক উৎসব সমস্ত কিছুতেই এই সরকার অনুপ্রেরণা জোগায় অর্থাৎ সামগ্রিকভাবেই এগিয়ে বাংলা। আমরা বাংলায় প্রত্যেকেই প্রমাণ করতে পারি আমাদের প্রত্যেকের দফতর কতটা এগিয়ে। সব রাজ্যের সঙ্গে আমাদের এই যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, এটাই আমাদের আরও এগিয়ে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন-এখনও চেঁচামেচি, এতদিন কোথায় ছিলেন

ব্রাত্য বসু জানান, কলকাতার মানুষের কাছে যাতে নাট্য উৎসবকে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা যায় তার জন্য ৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় স্তরে সেমিনার হয়েছে। সরকার নাট্যকর্মীদের মাসিক ভাতা, সাম্মানিক দেয়। ১০ হাজার টাকাকে বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দর্শকদের আহ্বান করে বলেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই যারা অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে আপনারা তাদের উৎসাহ দিন, তাঁদের পাশে থাকুন, থিয়েটারের পাশে থাকুন। ৭তম জাতীয় নাট্য উৎসবের মূল লক্ষ্য নাটকের প্রতি মানুষের ভালবাসা আরও বাড়ানো।
এবারে মোট ১৭টি থিয়েটারের দল অংশগ্রহণ করছে। সাতটি রাজ্যের, বাকি দশটি ভিন রাজ্যের। প্রত্যেকবারই তথ্য সংস্কৃতি দফতর বিজ্ঞাপন দেয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখে ১১২টি দল আবেদন করেছিল। তবে রাজ্য সরকারের তৈরি ১০ সদস্যের জুরি বোর্ড বাছাই করা দশটি দলকে অনুমতি দিয়েছে। বিহারের নাট্যদল রাগা রেপোর্টরির ‘স্মল টাউন জিন্দেগি’ নাটক দিয়ে শুরু হয় এবারের থিয়েটার উৎসব। ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি কন্নড়, তামিল-সহ একাধিক ভাষায় থিয়েটার পরিবেশন করা হবে। প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে রোজ সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় একটি করে শো হবে।

Latest article