প্রতিবেদন: জাতীয় মহিলা কমিশন ও এই ধরনের সংস্থাগুলি প্রতিদিন নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা জলাঞ্জলি দিচ্ছে বিজেপির রাজনীতিমূলক পরিচালনা ও নির্দেশ পালনের মধ্যে দিয়ে। তৃণমূলের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, জাতীয় মহিলা কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠনের ভূমিকা নিয়েছে। আর তৃণমূলের এই অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, রবিবার নন্দীগ্রামে গদ্দার অধিকারীর ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরের ছবি তা প্রমাণ করল।
আরও পড়ুন-ডায়াবেটিস চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশ্বে মডেল বাংলা, কুর্নিশ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন নন্দীগ্রামে গদ্দারের ব্যবস্থাপনায় ও ডাঃ অর্চনা মজুমদারের সহযোগিতায় একটি স্বাস্থ্য শিবির হয়। বিজেপির এই স্বাস্থ্য শিবিরে নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে গদ্দার অধিকারী ও অর্চনা মজুমদার অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে ওই দু’জনের একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ছবি সামনে আসতেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের কোনও সদস্যা এরকম একটি দলীয় স্বাস্থ্য শিবিরে নাগরিক হিসেবে বা চিকিৎসক হিসেবে বা অতিথি হিসেবে অংশ নিতে পারেন কি না? এই কারণেই আমরা বারবার বলছি এই সংস্থাগুলি বিজেপির শাখা সংগঠন বা গণসংগঠন। যিনি নানা সময়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যার পরিচয়ে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের সমালোচনা করেন, বিকৃত প্রচার করেন, তিনি কী করে নন্দীগ্রামে গদ্দারের পরিচালনায় একটি স্বাস্থ্য শিবিরে চিকিৎসক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন? শিবিরে তিনি চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা করেছেন কি করেননি সেটা বিচার্য নয়, কিন্তু জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য হয়ে তিনি কীভাবে ওই শিবিরে উপস্থিত হলেন? কুণাল আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল নন্দীগ্রামের মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ফোন করে বলছেন, ডায়মন্ড হারবারে যেরকম সেবাশ্রয় হয়েছে, নন্দীগ্রামেও সেই রকম একটা হোক। এটা জানতে পেরেই প্যানিক হয়ে গদ্দার নন্দীগ্রামে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে ফেলেন। আর সেখানে নিয়ে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের এক সদস্যাকে। এরপরও কি মহিলা কমিশনের ওই সদস্যাকে কেউ নিরপেক্ষ বলবে?

