পূর্ব কলকাতা জলাভূমির পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নলবন (Nalban) ভেরিতে একটি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার গড়ে তোলা হবে। পরিবেশ দফতরের অধীন ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডস ম্যানেজমেন্ট অথরিটি আগ্রহী সংস্থার থেকে দরপত্র আহ্বান করেছে। প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রকল্পটি চুক্তি স্বাক্ষরের এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত কেন্দ্রটিতে আধুনিক ইন্টার্যাকটিভ গ্যালারি, প্রদর্শনী হল ও উন্মুক্ত প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ক্ষেত্র থাকবে। মানুষ প্রকৃতি রক্ষা ও সুস্থায়ী উন্নয়নের সমন্বয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে পারেন। এই কেন্দ্রটিকে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদন পার্ক হিসাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুর কাণ্ডে নজরে ‘মাস্টারমাইন্ড;! আদালতে বিস্ফোরক নির্যাতিতার আইনজীবী
পরিবেশ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতার ফুসফুস নামে পরিচিত পূর্ব কলকাতা জলাভূমি শহরের নিকাশিজলের প্রাকৃতিক পরিশোধনের পাশাপাশি বিপুল জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে চলেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলাভূমির সেই পরিবেশগত ভূমিকা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, “নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার এমনভাবে নকসা করা হবে যাতে ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও সাধারণ নাগরিকরা জলাভূমির পরিবেশগত মূল্য বুঝতে পারেন। কিন্তু প্রাকৃতিক ভারসাম্য যাতে ব্যাহত না হয় সেই দিক দেখা হবে। এটি সংরক্ষণ নীতি ও জনসচেতনতার মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করবে।”
আরও পড়ুন-ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
দরপত্রে বলা হয়েছে, অভিজ্ঞ ভারতীয় নির্মাণ সংস্থাগুলিই এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে, যাদের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ পার্ক বা ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যোগ্যতা ও ব্যয়ের দক্ষতাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সংস্থা বাছাই করা হবে।
সম্পূর্ণ হলে নলবনের এই নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার কলকাতার অন্যতম প্রধান পরিবেশ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।