প্রতিবেদন : গোটা বাংলার মানুষ দুর্গাপুজোর জন্য সারাবছর অপেক্ষায় থাকেন। তেমনই সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ অপেক্ষা করে কার্তিক পুজোর জন্য। শনিবার নবান্ন উৎসব উপলক্ষে অসময়ে সেই কার্তিক আরাধনায় মেতে উঠল গোটা তারাপীঠ। বহু বছর আগে শুরু এখানকার কার্তিকপুজো দিনে দিনে উৎসবের চেহারা নিয়েছে। থিম ও আলোকসজ্জার প্রতিযোগিতায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েন উদ্যোক্তারা। তারাপীঠে মা তারা ছাড়া মূর্তি গড়ে দেবীপুজোর চল নেই। মা তারার অঙ্গেই দুর্গা, কালী, সরস্বতী, জগদ্ধাত্রী, লক্ষ্মী, অন্নপূর্ণা-সহ সব দেবীর আরাধনা হয়। কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে কার্তিকপুজো দেখতে মানুষ অভ্যস্ত হলেও তারাপীঠ হল তার ব্যতিক্রম। অগ্রহায়ণে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে অন্নপূর্ণার বদলে কার্তিকপুজো করেন এলাকার মানুষ। প্রায় ৬৩ বছর আগে নবান্ন উৎসবের দিন তারাপীঠ মন্দির কমিটি প্রথম কার্তিকপুজো করে বলে জানা যায়। তখন এই পুজোকে ঘিরে উন্মাদনা থাকলেও এখন পুজোর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে শিব ছাড়াও কার্তিক-অসুরের লড়াইয়ের দৃশ্য তুলে ধরা হয়। থিমে-আলোয় পুজোর জাঁকজমক বেড়েছে। তারাপীঠ মন্দির লাগোয়া স্থায়ী মণ্ডপে মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ে পুজো করে তারাপীঠ মিলন সঙ্ঘ। এবার সেই পুজোর ৬৩ বছর। থিম পরিবেশদূষণ রোধ। ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল, চামচ দিয়ে মণ্ডপ গড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-অসাধ্যসাধন রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের জটিল অস্ত্রোপচারে বাঁচলেন মা ও সন্তান
অন্যদিকে মায়াপুরের মঠের আদলে মণ্ডপ রবীন্দ্রপল্লি উন্নয়ন সমিতির ২৮ বছরের পুজোয়। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যাযের কথায়, দুর্গাপুজোর আনন্দ থেকে অনেক দূরে থাকেন তারাপীঠবাসী। কারণ তারাপীঠে কোনও দেবীমূর্তির চল নেই। অগ্রহায়ণ মাসে নবান্ন উৎসব এবং কার্তিকপুজোর আনন্দ এখানকার মানুষ একসঙ্গে পালন করেন। নবান্ন উপলক্ষে তারা মাকে নতুন ধানের অন্নভোগ দেওয়া হয়। এরপরই মণ্ডপগুলিতে পুজো শুরু হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোয় ঝলমল করবে তারাপীঠ।