প্রতিবেদন : এনডিএ সরকারের আয়ু যে খুবই অল্প, লোকসভায় তা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহারাষ্ট্র আর উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন হলেই দেশ থেকে সাফ হয়ে যাবে এনডিএ সরকার। লোকসভায় ঠুনকো মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে রীতিমতো দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, মোদির সরকার আর বেশিদিন নেই। তৃতীয় মোদি সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা দাবি করেছিলেন, এই সরকার ক্ষণস্থায়ী। মঙ্গলবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে সেই মেয়াদও স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে এদিন বক্তব্য পেশ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির প্রতি শ্লেষ আর বিদ্রুপাত্মক মন্তব্যে মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশন মাতিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদির শরিক নির্ভরতাকে এদিন তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী দু’টি ক্রাচ নিয়ে হাঁটছেন। একটি হল চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি, আরেকটি নীতীশ কুমারের জেডিইউ। যেকোনও সময়ই ভেঙে যেতে পারে এই সরকার। প্রবীণ তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, বিজেপি দুর্নীতিগ্রস্ত শরিকদের ওয়াশিং মেশিনে পরিষ্কার করছে। মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের কী ট্র্যাজেডি! যিনি রাজনৈতিক ব্যবস্থা স্বচ্ছ করার কথা বলেন, তিনিই সরকার গঠন করতে বাধ্য হয়েছেন কলঙ্কিত রাজনীতিবিদদের নিয়ে। কল্যাণের চু-কিতকিত মন্তব্যে এদিন হাসির রোল ওঠে অধিবেশনে। মোদির দিকে বিদ্রুপের তির ছুঁড়ে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে তারা জিতেছে ২৪০ আসনে। চু থেকে যদি ৪০০ ধরা হয়, তাহলে কিতকিত থেমে গেল ২৪০-এ।
আরও পড়ুন-মারাত্মক টার্বুল্যান্সে বিপত্তি, এয়ার ইউরোপায় ওভারহেড বিনে আটকে যাত্রী, আহত ৩০
মন্ত্রিসভা গঠনের পরে দেশে যে পরিবর্তনের দাবি করেছিলেন রাষ্ট্রপতি, বাস্তবের চোখ দিয়ে বিচার এবং ব্যাখ্যা করেন কল্যাণ। তাঁর মতে, পরিবর্তন তো হয়েছেই। একদিক রয়েছে একটি ঠুনকো সরকার। আর উল্টোদিকে একটি শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ। এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে সরকার মনে রাখবে আমরা ঠুনকো, বিরোধীরা শক্তিশালী। সংসদের ভিতরে যেমন লড়াই হবে, তেমনই সংসদের বাইরেও লড়াই হবে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই উল্টোদিকে বসবে বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গেই কল্যাণের মন্তব্য, আর বেশিদিন নেই। মহারাষ্ট্রের নির্বাচন হতে দিন। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন হতে দিন। তারপরে দেড় বছরে সাফ হয়ে যাবে এই সরকার।