ফেঙ্গালের (Fengal) প্রভাবে বিপুল পরিমান বৃষ্টি পুদুচেরিতে। গত ৩০ বছরে এত বৃষ্টি হয়নি বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। পুদুচেরির (Puducherry) বিভিন্ন জায়গা জলের নীচে চলে গিয়েছে। উদ্ধারে নেমেছে এনডিআরএফ। এই অঞ্চলে রাতভর ৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারপরেই ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গাল শনিবার সন্ধ্যায় আছড়ে পড়ায় বন্যা পরিস্থিতি হয়ে গিয়েছে। এটি গত ৩০ বছরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রেকর্ড সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যার জলে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে উদ্ধারকারী দল। ১লা ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮.৪ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মোবাইলের জাল অ্যাপ নিয়ে আট দফা নির্দেশিকা কলকাতা পুলিশের
ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গালের ফলে ভারী বৃষ্টিপাত হয় এবং এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলের নীচে চলে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। শনিবার রাত ১১টা থেকে বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর এসেছে। রবিবার সকালে চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু হয়। আজ, ১ ডিসেম্বর থেকে শহরতলির সমস্ত জেলায় ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ইএমইউ) ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক ভাবে কাজ শুরু করেছে। দক্ষিণ ভারত এলাকার চেন্নাই গ্যারিসন ব্যাটালিয়নের ভারতীয় সেনা জওয়ানদের রবিবার ভোরে পুদুচেরির বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে মোতায়েন করা হয়। এছাড়া আরাকোনাম থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-তেলেঙ্গানার মুলুগু জেলায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত ৭ মাওবাদী
উল্লেখ্য, আইএমডি তরফে খবর, সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি গত ছয় ঘণ্টায় অগ্রসর হয়নি এবং চেন্নাই থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।