দিল্লি দূষণের ছায়া চেন্নাইয়ে, সমুদ্রে বিষাক্ত ফেনায় বিপন্ন প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবার

Must read

চেন্নাই: যমুনার পথে কারখানার রাসায়নিক থেকে প্রবল দূষণের ছবি যেন এখন সারাবছরের বাস্তব ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শুধুমাত্র উত্তর ভারতের দিল্লি নয়। রাসায়নিক দূষণে কীভাবে দেশের নদীগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার ছবি ধরা পড়ল চেন্নাই (Chennai) সমুদ্রতটে। নদীবাঁধের জল উপচে পড়তেই কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল দূষিত রাসায়নিক ফেনা। যার ফলে আশঙ্কায় স্থানীয় প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবার।
শীতের আগেই এবছর ফের দূষণের থাবা রাজধানী দিল্লিতে। দেওয়ালি পেরোতেই দিল্লির দূষণের সূচক ‍‘খুব খারাপ’-এর নিচেই নামছে না। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এই মুহূর্তে আনন্দ বিহারের। সেখানে বায়ুর গুণমান সূচক ৪১৫, যা ‍‘বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত। মোট সাতটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে একিউআই ‍‘খুব খারাপ’ শ্রেণিতে রেকর্ড করা হয়েছে। একইভাবে দূষণের শিকার যমুনা। ছটপুজোর আগে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলি দ্রুততার সঙ্গে দূষণমুক্ত করার কাজ করা হলেও, নদীর সামগ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব। উত্তর ভারতে যখন দূষণের এই ছবি, তখন একইভাবে দূষণের শিকার তামিলনাড়ুর চেন্নাই (Chennai)। সম্প্রতি অত্যধিক বৃষ্টিতে উপচে পড়েছে চেমবরমবক্কম বাঁধের জল। তার ফলে অতিরিক্ত জল বয়ে গিয়েছে কুউম নদী দিয়ে। সেই নদী যেখানে পাট্টিনাপ্পক্কম এলাকায় সমুদ্রে মিশেছে সেখানে দেখা যায় নদীর বয়ে আনা বিষাক্ত ফেনা। পাট্টিনাপ্পক্কম থেকে শ্রীনিবাসপুরম পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার সমুদ্রতট ভরে যায় কুউম নদীর বয়ে আনা বিষাক্ত রাসায়নিক ফেনায়।
রাসায়নিক ফেনা এভাবে জমা হওয়ার পর থেকেই চিন্তায় এলাকার প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবার। এই এলাকায় মানুষের প্রধান জীবিকা মাছ ধরা। সমুদ্রের জলে এভাবে রাসায়নিক মেশায় নদীতে মাছের পরিমাণ কমে গিয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন ত্বকের সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তামিলনাড়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে রাসায়নিক নদীতে বয়ে আসা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে জঙ্গলরাজ, বাংলার আদিবাসী শ্রমিককে থেঁতলে খুন

Latest article