প্রতিবেদন : নিট ও নেট দুর্নীতি (NEET Scam) নিয়ে প্রবল চাপে মোদি সরকার। দেশ জুড়ে আন্দোলনের জেরে এবার যোগ দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিট দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে জোরালো আন্দোলন। সেই আন্দোলনের জেরে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারলেন না তিনি। বৃহস্পতিবারই গোটা কেলেঙ্কারির নৈতিক দায়িত্ব নিতে রাজি হন তিনি। তবে বিরোধীরা শিক্ষাক্ষেত্রে এত বড় কেলেঙ্কারি নিয়ে এত সহজে বিজেপি সরকারকে ছেড়ে দিতে রাজি নয়। কংগ্রেস শুক্রবারই দেশ জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই নিট দুর্নীতি (NEET Scam) বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী দিল্লি। একদিকে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাড়ির সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। দাবি ওঠে শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যদিকে শিক্ষা দফতরের সামনেও আন্দোলন চালায় কংগ্রেস কর্মীরা। যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ফলে কিছুটা বাধ্য হয়েই অনুষ্ঠান বাতিল করে ফিরে যান প্রধান। আন্দোলনের জেরে প্রায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই এনটিএ-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিক ছাত্র সংগঠন। সংগঠনগুলির দাবি, পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার নিট ২০২৪ বাতিল নিয়ে যে আবেদন করা হয়, তা খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট নিট সংক্রান্ত সব মামলা একসঙ্গে ৮ জুলাই শুনবে। তবে ৬ জুলাই থেকে নিট ২০২৪-এর যে কাউন্সিলিং শুরু হওয়ার কথা, তাতে কোনওভাবেই সময় নষ্ট করার পক্ষে সায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। নিট দুর্নীতিতে কেন্দ্র সরকারের তদন্তকারী সংস্থাও স্বীকার করে নিয়েছে বেনিয়ম হয়েছে বলে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের তরফ থেকে এই কেলেঙ্কারির জন্য এনটিএ-কেই দায়ী করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী তদন্তেরও সুপারিশ করা হয়েছে মন্ত্রকের কাছে।
আরও পড়ুন- কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, বিস্ফোরক লোকো ইন্সপেক্টর