প্রবল বিক্ষোভে জ্বলছে নেপাল: রাস্তায় ফেলে মার অর্থমন্ত্রীকে, ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন বাম প্রধানমন্ত্রী ওলি

Must read

বিক্ষোভের আগুনের জ্বলছে নেপাল (Nepal)। সেনাপ্রধানের নির্দেশে পদ থেকে বাধ্য হলেন নেপালের বাম প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (Nepal PM KP Sharma Oli)। সোমবার, থেকেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে নেপাল (Nepal)। মঙ্গলবার সকাল থেকে আন্দোলন প্রবল আকার নেয়। প্রধানমন্ত্রী-সহ বিভিন্ন মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা করা হয়। আগুন দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)-সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের বাড়িতে। রাস্তায় তাড়া করে মারধর করা হয় অর্থমন্ত্রীকে।

বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পুডেল ও প্রধানমন্ত্রী ওলির (Nepal PM KP Sharma Oli) বাড়িতে ঢুকে পড়েছে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেনার তরফ থেকে ওলি-সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে হেলিকপ্টার করে তুলে আনা হয়। কিন্তু ওলি এবার কোথায় যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, শোনা যাচ্ছে তিনি দুবাইতে আশ্রয় নিতে চাইছেন।

মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে পালাতে সাহায্য করার জন্য প্রায় ডজনখানেক হেলিকপ্টার উড়ে যায়। তাঁদের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়েই আন্দোলনকারীরা সেখানে জড়ো হয়ে যায়। তাঁরা বিমান চলাচলে বাধা দিতে বিমানবন্দরের ধারে ড্রোন, লেজার লাইট ও আতসবাজি ধরায়। ফলে বিমানবন্দরগুলি থেকে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন- নেপালের অশান্তির আঁচ ঠেকাতে সতর্ক রাজ্য, শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে ছিলই। ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়ায় সেই আগুন ঘি পড়ে। সোমবার থেকে হাজার হাজার প্রতিবাদী কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। সংসদ ভবন-সহ প্রশাসনিক এলাকায় ও সরকারি ভবনে ঢুকে পড়েন প্রতিবাদীরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙলে পুলিশ লাঠি চালায়। ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি ছোড়ে পুলিশ। রবার বুলেটও ছোড়া হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ২০ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আহত শতাধিক। কাঠমান্ডুতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। রাতে ফের স্যোশাল মিডিয়া চালু হলেও, বিক্ষোভ আটকানো যায়নি।

দুর্নীতির অভিযোগে ওলি সরকারের বিরুদ্ধে জেন জ়ি প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে। ভিতরে বাইরে প্রবল সমালোচিত হয়ে একের পর এক নেপালের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করেন মন্ত্রীরা। শেষমেশ সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের নির্দেশে ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী ওলি।

সূত্রের খবর, বেসরকারি হিমালয় এয়ারলাইন্সের বিমানে ওলি দুবাই পালিয়ে যেতে পারেন। সরকারিভাবে ওলি চিকিৎসার জন্য দুবাই যাচ্ছেন বলে জানানো হবে। অন্তর্বর্তী বা সর্বদল সরকার নির্বাচন পর্যন্ত কাজ চালাতে পারে। তবে, নেপালের সব বিমানবন্দরই বন্ধ। ফলে ওলির দেশত্যাগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

Latest article