প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার কেতুগ্রামের জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে আবারও তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতই এজেন্সি-রাজনীতি করুক না কেন, এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না তৃণমূল কংগ্রেস। লড়াই হবে চোখে চোখ রেখে। অভিষেকের কথায়, এত ইডি-সিবিআই লাগিয়েছে৷ কী করেছে! ক্যাঁচকলা।
আরও পড়ুন-নিশীথকে মিছিলে জবাব উদয়নের
এদিন একইসঙ্গে তিনি মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা ও মণিপুরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়েও মোদি-শাহকে একহাত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, সকাল থেকে রাত মণিপুরে কারফিউ৷ আগুন জ্বলছে৷ আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে। মানুষ ফোন করতে পারছে না। টিভি দেখতে পাচ্ছে না। তাঁদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। এটাই হচ্ছে ডবল ইঞ্জিন সরকারের নমুনা। বৃহস্পতিবার তৃণমূলে জনজোয়ার কর্মসূচি ১৮ দিন পেরোল। এদিন বীরভূম থেকে পূর্ব বর্ধমানে প্রবেশ করেন তিনি। চলে রোড-শো, জনসভা, রাধাগোবিন্দ মন্দির-দর্শন ও পুজো। নবজোয়ার কর্মসূচির সাফল্যকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে লিখেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে তাঁদের আশীর্বাদ-ভালবাসা পেয়েছে। আরও পথচলা বাকি রয়েছে। এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলার আপামর জনসাধারণকে আশ্বস্ত করতে চাই বাংলাকে। আমরা সকলে মিলে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাব।
এদিন অভিষেক বলেন, নবজোয়ার এখন থেকে জনজোয়ার হয়ে গেছে৷ মানুষ জনজোয়ার করে দিয়েছে৷ বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেছিল ৬ দিন থেকে দেখাক। আজ ১৮ দিন হয়ে গেল। আরও ৪০ দিন রাস্তায় থাকব।
আরও পড়ুন-নিশীথকে মিছিলে জবাব উদয়নের
তাঁর সংযোজন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ও আবেগ যেভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে ২০২৬ সালে আরও বেশি আসন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে।
পূর্ববর্ধমান জেলায় ১৬-০ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও জেলা পারেনি। এমনকী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় একটা আসন হেরেছি। এই জেলায় জনগণ বিজেপিকে ল্যাজেগোবরে করে পাঠিয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্রে মোদি-অমিত শাহ-জে পি নাড্ডা-দিলীপ ঘোষ শেষ কথা বলবে না। মানুষই শেষ কথা বলবে। সাফ কথা অভিষেকের। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, আগামী দিন খুব কঠিন। আপনাদের দলের কথা ভাবার দরকার নেই৷ নেতার কথা ভাবার দরকার নেই৷ যে কাজ করবে তাকেই ভোট দিন। ওরা লাগাক না ইডি-সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেস শেষ রক্তবিন্দু অবধি লড়বে। এক ইঞ্চি ছেড়ে কথা বলব না। তৃণমূল কংগ্রেস গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করছে। বাকিরা সব ঘরে ঢুকে গেছে। মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছো বলে হাতির পাঁচ পা দেখেছো। দুটো পা-ই আকাশে!