তুহিনশুভ্র আগুয়ান, তমলুক: গাছে ফলা আমকে এবার প্রক্রিয়াকরণ করে আয়ের নয়া দিশা দেখতে পাচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। বিভিন্ন ধরনের আমের আচার, জ্যাম ও জেলি-সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যবস্তু তৈরি করে স্বনির্ভর হতে শুরু করেছে গ্রামীণ মহিলারা। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীন কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিএডিসি) ইতিমধ্যেই তমলুকে শুরু করেছে বিশেষ এই উদ্যোগ। সেখানে বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে তা কেমিক্যালমুক্ত বিভিন্ন খাদ্যবস্তুতে রূপান্তরিত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ব্যাটিং নিয়ে প্রত্যাশার চাপেই নেতৃত্ব ছেড়েছি, মুখ খুললেন বিরাট
উল্লেখ্য, খেজুরিতে কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বিশাল জমি আছে। সেখানে প্রায় দুশো থেকে আড়াইশো উন্নত প্রজাতির আমগাছ রয়েছে। প্রতি বছর ব্যাপক পরিমাণ আম ফলে সেখানে। এবার সেই আমকেই বাজারে বিক্রি না করে একেবারে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তা থেকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বানিয়ে বাজারে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সিএডিসি। তমলুক-সহ বিভিন্ন এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সিএডিসির আওতায় এই আম প্রক্রিয়াকরণের কাজে হাত লাগিয়েছেন। একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে নুন, হলুদ, চিনি ব্যবহার করে তাঁরা তৈরি করছেন আচার-জেলির মতো বিভিন্ন সামগ্রী। সেগুলি প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যা থেকে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন গোষ্ঠীর মহিলারা। কলকাতার সল্টলেকে সিএডিসির আউটলেটে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। এর আগে মাশরুম, মাছ চাষ, টেলারিং-সহ মহিলাদের জন্য আয়নির্ভর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সিএডিসি। তমলুকের এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য রিঙ্কু জানা জানান, ‘আমরা এর আগে বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং নিয়েছি। যেহেতু গরমকালে আম উৎপন্ন হয় তাই এবার আম প্রক্রিয়াকরণের প্রশিক্ষণ পেলাম। তাকেই কাজে লাগিয়ে জ্যাম, জেলি, আচার-সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করছি। এতে ভাল আয় হচ্ছে আর সংসারের কাজেও লাগছে।’ এ বিষয়ে সিএডিসির তমলুক প্রোজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. উত্তমকুমার লাহা জানান, ‘সিএডিসির একটি নিজস্ব আমবাগান রয়েছে। এবার আমের ফলন যথেষ্ট ভাল। প্রাথমিক পর্যায়ে ওই বাগানের প্রায় ২ কুইন্টাল আম থেকে ম্যাংগো পিকল, মোরব্বা, জেলি-সহ নানা ধরনের খাদ্যবস্তু তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। আর এ কাজে যুক্ত হয়েছেন স্বসহায়ক দলের মহিলারা।’