বড় পদক্ষেপ ভারতের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার ফ্রান্সের সঙ্গে ৬৩ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ২৬টি রাফাল এম (Rafale M) যুদ্ধবিমানের চুক্তি সই করেছে নয়াদিল্লি (New Delhi)। ভারতের প্রথম দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি রাফাল মেরিন বিমান কিনতে ৬৩,০০০ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত, যা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ। ফরাসি বিমান নির্মাতা ডাসাল্ট এভিয়েশন কর্তৃক নির্মিত এই বিমানটি ভারত তার নিজস্ব টুইন-ইঞ্জিন ডেক-ভিত্তিক ফাইটার তৈরি না করা পর্যন্ত নৌবাহিনীর জরুরি চাহিদা পূরণের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে আমদানি করছে।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে পরীক্ষার সময়ে ছাত্রকে মুরগি কেটে পরিষ্কার করালেন সরকারি শিক্ষক
সূত্রের খবর, ২০২৮ সাল থেকে ২৯ সালের মধ্যে রাফাল এম ভারতে আসা শুরু করবে। ২০৩১ সালের মধ্যে ডেলিভারির কাজ শেষ হতে চলেছে। তবে জানা গিয়েছে, ভারতে আসা এই যুদ্ধবিমানগুলি বায়ুসেনা পাচ্ছে না, পাবে নৌসেনা। মোট ২৬টি রাফালের মধ্যে ২২টি হল এক আসনের নৌ-সংরক্ষণ, যেগুলি ভারতীয় নৌসেনার কাছে যাবে। বাকি চারটি হল দুই আসনের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান।
এই মর্মে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গোটা বিশ্বজুড়ে রাফালের পরিচিতি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। রাফালের মাল্টি রোলিং ক্ষমতা শত্রু নিধনে শেষ কথা। সব মিলিয়ে রাফালের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহের কোন জায়গা নেই। সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির তৈরি অস্ত্র। শত্রুর দূরত্ব বেশি হলেও রাফালের SCALP ক্রুস মিসাইল তাকে নিমেষের মধ্যেই ধ্বংস করতে পারে। সবথেকে বড় বিষয় হল রাফাল নিজের মধ্যে পরমাণু বহন ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন-কুনোয় পাঁচ শাবকের জন্ম দিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা নিরভা
ঘণ্টায় ২ হাজার ২২২ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারে রাফাল। পাকিস্তানকে শায়েস্তা করা এর কাছে এমন কোন বিষয়ই নয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসের মুখ দেখবে শত্রু দেশ। এদিকে প্রতিনিয়ত হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে চিন আর তার দোসর হচ্ছে পাকিস্তান। এই অবস্থায় দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এদের মুখ বন্ধ করতে রাফালই মোক্ষম জবাব। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল (DAC) নৌবাহিনীর অপারেশনাল ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২৬টি রাফালে এম যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে।