দার্জিলিং (Darjeeling) চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথির আগমন। শনিবার চিড়িয়াখানায় দুটি শাবকের জন্ম দিল তুষার চিতাবাঘ। আপাতত একটি ঘরের মধ্যে এক সঙ্গে রয়েছে তিনজন। মা ও দুই সন্তান সবাই সুস্থ। তবে তারা এতটাই দুরন্ত যে এই মুহূর্তে তাদের নিয়ে ব্যস্ত দার্জিলিং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। দু’জনকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সন্তানসম্ভবা অবস্থা থেকেই চিতাটিকে আলাদা করে রাখা হয়। পর্যাপ্ত খাবার এবং চিকিৎসার সাথে চলত ২৪ ঘণ্টা নজরদারি। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, বন দফতরের নজরদারিতেই আছে মা এবং তার সন্তানরা। পুরোপুরি সুস্থ হলে তবেই তাদের বাইরে আনা হবে।
আরও পড়ুন-দার্জিলিং চা নিয়ে সমস্যার সমাধান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কমিটি গঠনের দায়িত্ব রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের
দুই সদ্যোজাতদের ধরে দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানায় তুষার চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩, যা এই মুহূর্তে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় এখন চারটি পুরুষ এবং সাতটি মহিলা তুষার চিতাবাঘ রয়েছে। দার্জিলিংয়ে এখন সবথেকে বড় আকর্ষণ হল ‘বরফের চিড়িয়াখানা’ যা দেশের মধ্যে আর কোথাও নেই। রেড পান্ডা থেকে তুষার চিতাবাঘ, সবই দেখা যাবে। জানা গিয়েছে, তাদের ডিএনএ সংরক্ষণ করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। বন্য পশুদের নমুনা সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। যদি কোনও জন্তু স্বাভাবিকভাবে মারা যায় বা অকালমৃত্যু ঘটে তা হলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলিকে সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া চিড়িয়াখানার ভিতরে পরীক্ষাগার তৈরী করা হচ্ছে। এই ডিএনএগুলি সেখানে থাকবে। থাকবে অপরিবর্তনশীল জেনেটিক সামগ্রী, যা দিয়ে নানারকম পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা যায়।