পকসো (POCSO) আইনের মামলায় এবার থেকে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে হবে মহিলা পুলিশ অফিসারকে। অভিযোগকারী তরুণী কিংবা নাবালিকার জবানবন্দি প্রয়োজন হলে সেটাও মহিলা পুলিশকর্মীদের নিতে হবে। কোন কারণে থানায় কোনও মহিলা পুলিশকর্মী সেই সময় না থাকলে অন্য থানা থেকে মহিলা পুলিশ অফিসার কিংবা কর্মীকে এনে সেই কাজ করতে হবে। কিছুদিন আগেই লালবাজারের তরফে পুলিশকর্মীদের জন্য পকসো আইন নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই অফিসারদের এহেন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-ক্লাসের মধ্যে সহপাঠীর কাঁধে মাথা রেখে মৃত্যু কিশোরীর
লালবাজার তরফে খবর, পকসো, বিএনএস এবং বিএনএসএসের ধারা মেনে ঠিক ভাবে তল্লাশি চালাতে এবং জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে সেই নিয়ে সতর্ক করতেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। তল্লাশি চালানোর সময়ে ঠিক কতক্ষণ ভিডিয়ো করতে হবে বা সেই ভিডিয়ো কীভাবে আদালতে জমা দিতে হবে এই নিয়ে বিশদে জানানো হয়েছে। এখন মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ড করে সেটা আদালতে মেমরি কার্ড কিংবা পেনড্রাইভে জমা দিতে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে থানার অফিসারেরা বেশ কয়েকটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বারংবার। এদিনের কর্মশালায় অফিসারেরা এই সংক্রান্ত যাবতীয় সুবিধা-অসুবিধাগুলি তুলে ধরেন। রাজ্য পুলিশ এলাকায় জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার বা তল্লাশি চালানোর ভিডিয়ো পোর্টালে আপলোড করতে হচ্ছে যেটা চলে যাচ্ছে আদালতে। কলকাতা পুলিশ এলাকায় যদিও সেই পদ্ধতি এখনও চালু হয়নি।
আরও পড়ুন-পূর্ব ভারতে সেরার শিরোপা কলকাতা মেডিক্যালের
যৌন নির্যাতন কিংবা পকসো মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিতার নাম কোথাও কোনভাবেই প্রকাশ করা যাবে না। এফআইআরের নথি,অভিযোগপত্র বা শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট, কোথাও নির্যাতিতার নাম রাখা যাবে না সেই কথাও এদিনের কর্মসূচিতে আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কিছু ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানার ক্ষেত্রে বাহিনীর মধ্যে শিথিলতা প্রকাশ্যে আসছিল। তাই আরও একবার সতর্কবার্তা দেওয়া হল তাদের এই প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায়। এদিন কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানার অফিসারেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। সেখানে স্পষ্ট করেই জানানো হয়, পকসো এবং মহিলাদের উপরে যৌন নির্যাতনের মামলায় তদন্তকারী অফিসার যে কেউ হতে পারেন কিন্তু অভিযোগকারী কিংবা ভিকটিম নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা মহিলা অফিসারকে দিয়েই করাতে হবে। এই নিয়ে কোন আপোষ চলবে না।