প্রতিবেদন: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রবল বাকযুদ্ধে জড়িয়ে যে বিস্ফোরক পোস্ট করেছিলেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক, শনিবার দুপুরে নিজের সেই বিতর্কিত পোস্টটি ডিলিট করেছেন টেসলা-কর্তা। আর এই ঘটনাকে ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বিতর্কিত পোস্ট মোছার জন্য মাস্কের উপর চাপ তৈরি করেছিল ট্রাম্প-প্রশাসন? নাকি সম্মুখসমরে ইতি টানতেই বিশেষ বার্তা দিলেন টেসলা-কর্তা?
আরও পড়ুন-সন্দেহের বশে স্ত্রীর মাথা কাটলেন স্বামী, মুন্ডু হাতে থানায় আত্মসমর্পণ
দ্বন্দ্বপর্বে বৃহস্পতিবার ইলন মাস্ক নিজের এক্স হ্যান্ডলে দাবি করেছিলেন, ‘এপস্টেইন ফাইল’-এ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে ‘বড় বোমা’ ফেলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মাস্ক। তিনি দাবি করেছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তের সম্পর্ক থাকার কারণেই ফাইলটি প্রকাশ্যে আনেনি মার্কিন প্রশাসন। বোমা সংক্রান্ত পোস্টটি উদ্ধৃত করে মাস্ক তখন লিখেছিলেন, ভবিষ্যতের জন্য এটি মাথায় রেখে দিন। সত্যি সামনে আসবেই। অথচ সেই বিস্ফোরক চ্যালেঞ্জের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় পোস্টটি মুছে ফেলেছেন মাস্ক। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেফ্রি এপস্টেইন নামের এক কুখ্যাত যৌন অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে একজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন ভার্জিনিয়া জিফরে নামের এক মহিলা। সেই মামলার নথিতে এপস্টেইন-ঘনিষ্ঠদের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। ইতিমধ্যে একাধিক বার শোনা গিয়েছে, ওই ফাইলে নাম রয়েছে বহু প্রভাবশালীর। তারমধ্যে আছেন বিল ক্লিন্টন থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্টিফেন হকিং থেকে মাইকেল জ্যাকসন-সহ বিশ্বের একাধিক নামজাদা ব্যক্তি। এপস্টেইনের নথি অনুযায়ী, এঁরা প্রত্যেকেই তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধ যৌন ক্রিয়াকলাপে যুক্ত ছিলেন। এদিকে শনিবার মাস্ক তাঁর এপস্টেইন সংক্রান্ত পোস্ট ডিলিট করায় মার্কিন রাজনীতিতে তীব্র হয়েছে সমঝোতার জল্পনা। এই ঘটনা ট্রাম্প-মাস্ক ঠান্ডা যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত হতে পারে, এমন মনে করছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এবার হয়তো নিজেদের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন ট্রাম্প ও মাস্ক।