সংবাদদাতা, আসানসোল : রাজ্যের ১৩টি এলাকাকে শিল্পসমৃদ্ধ (Industry) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিম বর্ধমানেই রয়েছে পাঁচটি এলাকা। এই শিল্পসমৃদ্ধ (Industry) এলাকাগুলিতেই নতুন করে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে এক প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ঘোষণা করা হল। আসানসোলের জেলাশাসক দফতরে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেশ কয়েকটি বণিক সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এই দুই খনি শিল্পাঞ্চলে নতুন কোন কোন শিল্পের সম্ভাবনা সর্বাধিক, সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক সন্দীপ টুডুর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে শিল্পোদ্যোগীরা মূলত পরিকাঠামোর পাশাপাশি কোথায় কোন শিল্পের উপযোগী কাঁচামাল প্রাপ্তির সুবিধা সবথেকে বেশি, সে বিষয়ে আলোচনা করেন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ বণিক সংঘ ‘ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’-র পক্ষ থেকে বিভিন্ন পলিটেকনিক ও আইটিআই থেকে পাশ করা ছেলেমেয়েরা ছাড়াও রাজ্য সরকারের ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে প্রশিক্ষিত বেকারদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরেই দুর্গাপুরে দু’বার হয়েছে জব ফেয়ার। তাতে প্রায় ছ’হাজার প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণী চাকরি পেয়েছেন। আসানসোল বণিকসভার শীর্ষ কর্তা নরেশ আগরওয়াল, হরিনারায়ণ আগরওয়াল এবং রানিগঞ্জ বণিকসভার সভাপতি রোহিত খৈতান বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার বন্ধ, হরতাল ইত্যাদির বিরোধী, একইসঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলি জঙ্গি আন্দোলন থেকে সরে আসায় রাজ্যে সুস্থ কর্মসংস্কৃতির পরিবেশ ফিরে এসেছে। বেড়েছে শ্রমদিবসের সংখ্যা। শিল্পবান্ধব আবহ গড়ে ওঠায় শিল্পপতিরা বিনিয়োগেও উৎসাহী হচ্ছেন।